হাতিদের দু’টি দলের দৌরাত্ম্য অব্যাহত বড়জোড়া ও বিষ্ণুপুরে। ইতিমধ্যে হাতির হামলায় জখম থাকা এক ব্যক্তির সোমবার রাতে মৃত্যু হয়। মৃতের নাম তারাপদ দাস (৩৫)। বড়জোড়া থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুরে তাঁর বাড়ি। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।বৃহস্পতিবার সোনামুখী থেকে বড়জোড়ায় ঢোকা দলমার হাতির হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে, সোমবার রাতে বড়জোড়ার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে হানা দেয় হাতির পাল। এখানে প্রায় ১০০টি হাতি রয়েছে। হাতিরা সবজি খেতে হানা দেয়। ভাঙচুর করে ঘরবাড়িও। ঘুটগড়িয়া, খাঁড়ারি, শীতলা, সাহারজোড়া প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসে মঙ্গলবার ভিড় জমিয়েছিলেন। ডি এফ ও বাঁকুড়া (উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বলেন, “চেষ্টা করেও হাতিদের লোকালয়ে ঢোকা বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা গ্রামবাসীদের সার্চ লাইট, কেরোসিন তেল নিয়ে সজাগ থাকতে বলছি।” সমস্যা মেটাতে ‘হাতি খেদানো’ অভিযানে নামার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। হাতির হামলায় মৃতের পরিবারের হাতে এদিন ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। বড়জোড়ার পাশাপাশি বাঁকাদহের বরামারা, কলাবাগান, ফুলবনি গ্রামে দলমার হাতিদের একটি দল হানা দেয়। বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ বলেন, “৫০টি হাতির ওই দলটিকে বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে পাঠানোর পরেও তারা আমাদের সীমান্ত লাগোয়া বেশ কিছু গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ওই সব এলাকার সবজি খেতগুলিতে। দলটি যাতে ফের ঢুকতে না পারে তার জন্য বনকর্মীদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।”
|
হাতি ও বুনো মোষের আক্রমণে অসমে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। কাজিরাঙার বাগোরি রেঞ্জে কাঞ্চনজুরি বনশিবিরের কাছে কাল বিকালে টহলদারি বনরক্ষীদের আক্রমণ করে একটি বুনো মোষ। বাকি রক্ষীরা পালালেও সুশান্ত মহন্ত (৫০) নামে এক রক্ষী মোষের ধাক্কায় পড়ে যান। তাঁকে গুঁতিয়ে জখম করে মোষটি। সহকর্মীকে বাঁচাতে বাকি রক্ষীরা ৫ রাউন্ড গুলি চালান। গুলিতে মোষটির মৃত্যু হয়। তবে সুশান্তবাবুকেও বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। পৃথক ঘটনায়, নগাঁও কামপুর এলাকার গ্রামগুলিতে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে শিশু-সহ দু’জনের। কাওইমারিতে নিজের জমিতে ঘুমিয়ে ছিলেন সেনিরাম বরদলৈ ও সোনাই বরদলৈ। হাতির পাল তাকে পিষ্ট করে দেয়। দাওপাড়ায় হাতির দল দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলে। বাকিরা জখম হলেও জহিরুল ইসলাম নামে একটি শিশু ঘুমন্ত অবস্থায়, বাড়ি ভেঙে পড়ে মারা যায়। সরকারের তরফে জহিরুলের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। |