নির্বাচনী ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মণিপুরে বাড়ছে সন্ত্রাস। আজ সন্ধ্যায়, ইম্ফলের থংমেইবাঁধ এলাকায়, তৃণমূল প্রার্থী খংনাম জয়কৃষ্ণ সিংহের বাড়িতে গ্রেনেড মারে জঙ্গিরা। ঘটনায় জখম হন এক মহিলা ও তিন বহিরাগত শ্রমিক। সকলেরই পায়ে স্প্লিন্টিারের আঘাত রয়েছে। তাঁদের রিম্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত কাল, ইম্ফল জুড়ে চারটি গ্রেনেড হানা, দু’টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ফাটার আগেই তিনটি বোমা উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, লামলাই থানা এলাকার চালৌ গ্রামে ইরাবত কমিউনিটি হলে মোট ৫টি বোমা রেখেছিল জঙ্গিরা। এই হল থেকেই আজ সিপিআই নেতা তথা কৃষিমন্ত্রী ফেইরোইজাম পারিজাত সিংহের নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ায় কথা ছিল। গত কাল, দুই বিস্ফোরণে হলের একাংশ উড়ে যায়। পুলিশ গিয়ে, হলে লুকোনো আরও তিনটি বোমা ও একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করে।
সিপিআই কংগ্রেসের শরিক দল। তবে নির্বাচনের আগে কংগ্রেস-সিপিআই আঁতাত ভেঙে গিয়েছে। লামলাইতে ফের পারিজাত সিংহই জিততে পারেন বলে অভিজ্ঞদের অভিমত। তাঁর অবশ্য দাবি, কোনও জঙ্গি সংগঠন নয়, তাঁকে মারতে বিরোধী রাজনৈতির দলই বোমা রেখেছিল। এ দিকে, পুলিশের বজ্র আঁটুনিকে নস্যাৎ করে গতকাল দিনভর, কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের বাড়িতে জঙ্গি সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের তরফে আক্রমণ চালানো হয়। সিংজামেই ওয়াইখং এলাকায় ওয়াইখম সমচাঁদের বাড়িতে সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ গ্রেনেড ছোড়া হয়। কাল বিকেলে ওয়াইখং থানার কাকচিং গ্রামে দুই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতেও গ্রেনেড ছোড়া হয়। রাতে, নামবল সবল লেইকাইয়ের কাউন্সিলর লইশরাম পদ্মেশ্বরী দেবীর বাড়িতে গ্রেনেড মেরে পালায় জঙ্গিরা। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে, বহু কট্টর কংগ্রেস কর্মীও দল থেকে দূরত্ব বজার রাখছেন।
টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কায়, মণিপুর পরিকল্পনা বোর্ডের প্রাক্তন অধিকর্তা কে মাঙ্গি সিংহের সমর্থকেরা, তৃণমূলের দলীয় দফতর তছনছ করল। পোড়ানো হল দলীয় পতাকা। ছিঁড়ে ফেলা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। পূর্ব ইম্ফলের থোংজু থেকে ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মাঙ্গি সিংহ। প্রদেশ তৃণমূল তাঁর নাম প্রার্থী তালিকাতে রেখেওছিল। |