প্রথমবার বুলেট ছেড়ে, ব্যালট যুদ্ধে নেমেই বাজিমাৎ। শাসক কংগ্রেসের প্রার্থীকে হারিয়ে জিতে গেলেন তিন প্রাক্তন জঙ্গি নেতা।
একাদশ কার্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচনে, এক দশকের দুর্নীতি ও কংগ্রেস বিরোধী হাওয়ায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল শাসকদল। গতবার ২৬টি আসনের মধ্যে ২১টি কংগ্রেসের দখলে ছিল। এবার, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা অবধি হওয়া গণনা অনুযায়ী কংগ্রেস পেয়েছে ১০টি আসন। বিরোধী জোটের হাতে এসেছে ৮টি আসন। একটি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৫৪টি সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ পিপল্স অ্যালায়েন্স ফর পিস এগ্রিমেন্ট (পাপা) গঠিত হয়। ২৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। কার্বি জঙ্গি সংগঠন ইউপিডিএস সংঘর্ষবিরতির সময়ে জানিয়েছিল, তারা রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু করবে। নতুন দল না গড়ে, ‘পাপা’তেই নাম লেখায় তারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরেন সিংহ বে-সহ ছ’জন প্রাক্তন জঙ্গি নেতা প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে হরেন সিংহ জিতেছেন রংখাং থেকে। লংফার ও দেওপানি থেকে জিতেছেন সংগঠনের অন্য দুই প্রাক্তন জঙ্গি কানজাং তেরং এবং সূর্য রংফার।
জঙ্গি নেতারা ছাড়াও ভোটে জিতেছেন দুই প্রবীণ এএসডিসি নেতা দরসিং রংসং ও সেমসন টিস্স। কার্যত, সবচেয়ে মূল্যবান চারটি আসন লম্বাজং, সরপাথার, লংফার ও রংখং হাতছাড়া হওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। দশ বছর লুম্বাজং দখলে রাখবার পরে, পাপা সমর্থিত নির্দল প্রার্থী রবিনসন ক্রো-র কাছে হারল কংগ্রেস।
তবে, ‘পাপা’ এবার ২০টি আসন দখল করবে বলে দাবি করেছিল। মঞ্চের সম্পাদক অ্যালভিন তেরং নিজে কংগ্রেসের বি ইউ মাফলাইয়ের কাছে হেরে গিয়েছেন। কংগ্রেসের নামী প্রার্থীদের মধ্যে মন্ত্রী খরসিংহ ইংতির বোন এলিস ইংতি, শালা হেমরাই তেরং, বিধায়ক বিদ্যা সিংহের স্ত্রী কুন্তিলা রংগংপি, সাংসদ বীরেন সিংহ ইংতির ঘনিষ্ঠ কাসে তেরংপি হেরেছেন। মন্ত্রী-বিধায়কদের আত্মীয়কে জোর করে প্রার্থী করায় দলে ক্ষোভ ছিলই। এদিন, তাঁদের অধিকাংশই হেরে যাওয়ায়, স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। |