প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার প্রস্তাবে সরকারি ভাবে সম্মতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে তাঁর উৎসাহের কথা তিনি নিজে আগে জানিয়েছিলেন। এ বার তা সরকারি সিলমোহর পেল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মঙ্গলবার এই খবর জানান। ফলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ‘বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ’-এর বন্দোবস্ত করা যাবে। সরকারি সূত্রের খবর, সেই প্যাকেজেও মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন মিলেছে।
প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপের সুপারিশ ছিল, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হলে সেরা শিক্ষক দরকার। আর সেরা শিক্ষকদের আনতে হলে তাঁদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা, গবেষণা ইত্যাদির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকা দরকার। প্রেসিডেন্সির জন্য সম্প্রতি যে ‘চেয়ার প্রফেসর’ পদগুলি মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন, সেগুলিতে এ বার অগ্রণী শিক্ষকদের আনা সম্ভব হবে বলে মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুগত বসু এ দিন আশা প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার সুগতবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। প্রেসিডেন্সিতে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগে এর পরে গতি আসবে বলে আশা করা যায়।”
বিশেষ মর্যাদার ফলে কী সুবিধা পাবেন শিক্ষকরা? সুগতবাবু বলেন, “এমনিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদের মধ্যে বেতনক্রমের ফারাক নেই। কিন্তু মহার্ঘভাতা ও বাড়িভাড়া বাবদ প্রাপ্যের বিচারে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কিছু কম পান। প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা হবে সার্বিক বিচারে শিক্ষকেরা যাতে ভাল অঙ্ক পান।” সুগতবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র পাওয়ায় চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্সিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞাপন দিয়ে আবেদনপত্র আসা অবধি তাঁরা যে বসে থাকবেন না, সে কথাও জানান তিনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেরা শিক্ষকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকেই যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানান। সুগতবাবুর কথায়, “এই প্রচেষ্টার জন্য আসলে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও নিজের থেকে যথেষ্ট তৎপরতা দেখায়। নামী প্রতিষ্ঠান বলে বসে থাকে না।” |