শেষ পর্যন্ত বাসমালিক কর্তৃপক্ষের দাবি মেনে সাময়িক ভাবে সরানো হল সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড। সিউড়ি শহর থেকে কিছুটা দূরে আবদারপুর থেকে আপাতত বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ দিকে, মঙ্গলবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে অস্থায়ী দোকানদার ও হকাররা নিজেদের মালপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করে দিয়েছেন। |
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার আগে নন্দগোপাল মোড়ের কাছে বাস থেকে নামার সময়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল লতি বাগদি (৪০) নামে এক আদিবাসী মহিলার। ওই ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা ওই বাসে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন। বাস মালিক ও কর্মীদের দাবি ছিল, অভিলম্বে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে এবং রাস্তার উপরে বসা দোকানগুলিকে সরাতে হবে। ওই দাবিতে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিউড়ির উপর দিয়ে চলা বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাঁরা।
সোমবার আইএনটিইউসি নেতা মৃণাল বসু ও জেলা বাসমালিক সমিতির সভাপতি গৌতম মুখোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বাস ঢোকা ও বেরনোর মুখে যাঁরা বসে আছেন নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের সরাতেই হবে। তা না হলে কোনও অবস্থাতেই বাস চালাবেন না। প্রশাসন যদি অন্যত্র থেকে বাস চালানোর অনুমতি দেয় তা হলে তাঁরা মঙ্গলবার থেকে বাস চালাতে রাজি। তাঁরা বলেন, “প্রশাসন অন্য জায়গা দিয়ে বাস চালানোর ব্যবস্থা করেছে। আশা করছি আজ বুধবার থেকে বাসচলাচল স্বাভাবিক হবে। আমাদের বাকি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আবদারপুর থেকে বাস চলবে।” |
মঙ্গলবার ও বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। সরকারি বাসে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এডিএম (এল আর) শ্যামাশিস রায় বলেন, “পুরনো বাসস্ট্যান্ডে যে সব সমস্যা আছে তা মিটে গেলে ফের এখান থেকে বাস চলবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেকেই অস্থায়ী দোকান বা চালা সরিয়ে নিয়েছেন।” |