কলেজ শিক্ষকদের বেতনের বকেয়া টাকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠাল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বলকে এই মর্মে চিঠি লিখেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কলেজ শিক্ষকদের অবসরের বয়স নিয়ে যে-জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা ‘মুলতুবি’ রেখে ওই বকেয়া মেটানোর কথা লিখেছেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র তৈরি চাঢা কমিটির সুপারিশ মেনে ২০০৬-এর ১ জানুয়ারি থেকে কলেজ শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয়। বর্ধিত বেতনের ৮০ শতাংশ কেন্দ্রের এবং ২০ শতাংশ রাজ্যের দেওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ না-করলে তারা বকেয়া টাকা দেবে না। এই নিয়ে বাম আমল থেকেই টানাপোড়েন চলছে। ব্রাত্যবাবু এ দিন বলেন, “১৯৯৬-এ যখন অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬২ করার কথা হয়েছিল, তখনও তো সেই বিতর্ক মেটার আগেই বর্ধিত বেতনে কেন্দ্র তাদের প্রদেয় টাকা মিটিয়ে দেয়। এ বারেও বয়সের ব্যাপারটা মুলতুবি রেখে যাতে কলেজ শিক্ষকদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়, সেই কথাই লিখেছি চিঠিতে।”
|
সাত কেন্দ্র বাদে রাজ্যে ভোটার ৫ কোটি ৬২ লক্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার সংখ্যা পাঁচ কোটি ৬২ লক্ষ এক হাজার ৬০৭-এ পৌঁছে গেল। বাকি আছে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের হিসেব। সেখানকার হিসেব মিললে ভোটারের সংখ্যা আরও বাড়বে। নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালের ১ জানুয়ারিকে ভিত্তি করে বৃহস্পতিবার ২৮৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের যে-চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ঘোষণা করছে, তাতেই এই তথ্য আছে। এ বার নতুন ভোটার হয়েছেন ২১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৭৯ জন। বৃদ্ধির হার ৩.৮ শতাংশ। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা আসনের নতুন ভোটারদের স্থান হয়নি ওই তালিকায়। ওই সাতটি কেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ জানুয়ারি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত জানান, এ বার ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় ২৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৭৫টি নতুন আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। আগের বছরের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে নানা কারণে চার লক্ষ ৫৯ হাজারের কিছু বেশি নাম বাদ পড়েছে। এ বারের তালিকায় পুরুষ বা নারী নন, এমন ভোটারের সংখ্যা ৩২০। |