সর্বদলের সৌজন্য মানসের সভায়
ংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূলের প্রবল আকচাআকচির আবহে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি এক মঞ্চে ‘সর্বদলীয় সৌজন্য’ দেখল ঝাড়গ্রাম। এ দিন ঝাড়গ্রাম ব্লক মহিলা অরণ্যসুন্দরী-মহাসঙ্ঘের সভাঘরে আয়োজিত তাঁত ও তাঁতশিল্পী শিবিরে হস্ত ও তাঁতশিল্পীদের সচিত্র পরিচয়পত্র, শিল্পী-ঋণপত্র ও স্বাস্থ্যবিমাপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও ছোটশিল্প উদ্যোগ, বস্ত্র এবং সেচ দফতরের মন্ত্রী ‘কংগ্রেসের’ মানস ভূঁইয়া, ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী ‘তৃণমূলের’ সুকুমার হাঁসদা, গোপীবল্লভপুরের ‘তৃণমূল’ বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, ঝাড়গ্রামের ‘সিপিএম’ সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে, জেলা পরিষদের ‘সিপিএম’ সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য এবং ঝাড়গ্রামের পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতির ‘সিপিএম’ প্রধানরা। সরকারি অনুষ্ঠানে যেমনটি আশা করা যায় (যদিও ইদানীং যেন কল্পকাহিনিই), সব দলের মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদ-জন প্রতিনিধিরা দলীয় গণ্ডি ভাঙলেন। পরস্পর সৌজন্য বিনিময় করলেন। এবং সরকারি উন্নয়ন-কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার উপরেও জোর দিলেন।
মঞ্চে সর্বদলদুই মন্ত্রী, সাংসদ ও সভাধিপতি। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
এ দিন জঙ্গলমহলের ১১টি ব্লকের ৩৫০ জন হস্ত ও তাঁতশিল্পীকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। মানসবাবু ‘সর্বদল’ প্রসঙ্গ টেনেই বলেন, “কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের আওতায় হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে শিল্পীদের কোনও দল বা রং দেখা হয়নি। শিল্পীর কোনও জাত হয় না। দলমত নির্বিশেষে হস্ত ও তাঁতশিল্পীদের মানোন্নয়ন ঘটাতে সরকার বদ্ধপরিকর।” পাশাপাশি, গ্রামাঞ্চলে শিল্পীদের স্বার্থরক্ষা করতে মহাজনি-ব্যবস্থা ভাঙতেও তাঁর দফতর বদ্ধপরিকর বলে মানসবাবু জানান। ঝাড়গ্রামের পর সবংয়েও স্থানীয় অনাথবন্ধু পাঁজা স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে হস্তশিল্পী ও তাঁত-শিল্পীদের পরিচয়পত্র, স্বাস্থ্য বিমার কার্ড বিলি করেন মানসবাবু। এই অনুষ্ঠানেও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্রকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অন্য কর্মসূচি থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারলেন না বলে চিঠি দিয়ে জানান সূর্যবাবু। তবে অনুষ্ঠানে সবং পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি চন্দন গুছাইত উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক-প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদাকে পাশে নিয়ে মানসবাবু বলেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রে আমি কারও মুখ সেলাই করতে পারব না। কারও হাত-পা শিকল দিয়ে বাঁধতেও পারব না। গণতন্ত্র ভাল, তবে বিশৃঙ্খল গণতন্ত্র ভাল নয়। জোটধর্ম রক্ষা করতে সবারই একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.