এক দিকে স্থানীয় ক্রিকেটের চলতি মরসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মোহনবাগানের টানা তিন বার হারানো। অন্য দিকে, মাত্র ৬৬ রান দিয়ে ৮ উইকেট তুলে অশোক দিন্দার বল হাতে ফের ঝলসে ওঠা! বৃহস্পতিবার এমন দু’টো ঘটনাই ঘটে গেল স্থানীয় ক্রিকেটে।
ইডেনে এ দিন শিবশঙ্কর পালের ৫ উইকেটও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বাঁচাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলকে। সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির ফাইনাল, এ এন ঘোষ ট্রফির ম্যাচের পর এ বার লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এ নিয়ে তিন বারই হারল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সল্টলেকে দিন্দার আগুনে বোলিং কিন্তু এ এন ঘোষ ট্রফির ফাইনালে তুলে দিল কালীঘাটকে। স্পোর্টিং ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তারা জিতল ১২৩ রানে।
চলতি মরসুমে মোহনবাগানকে হারানোর এ দিনই সেরা সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। গত কালের বিপর্যয় সামলে নির্ধারিত ৫৮ ওভারে ১৯৫ তুলেও ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহন-অধিনায়ক সঞ্জীব স্যান্যাল (৩৫) শেষ দিকে ম্যাচ বের করে নেন চার ওভার হাতে রেখে। রান করে যান অনুষ্টুপ মজুমদারও (৪১)। এবং দুরন্ত বোলিং করেও শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে হয় শিবশঙ্করকে (৫-৫২)। ইস্টবেঙ্গল শিবিরের ক্ষোভ, মোক্ষম সময়ে অরিন্দম দাস যদি না ক্যাচ ফেলতেন সঞ্জীবের তা হলে ম্যাচের রং বদলাতেও পারত।
|
বিদ্যালয় যোগাসনে সাফল্য বাংলার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
জাতীয় বিদ্যালয় যোগাসনে সোনা পেল বর্ধমানের
জয়শ্রী পাত্র (বাঁ দিকে), রুপো সৌমি ঘোষ। |
৫৭তম জাতীয় বিদ্যালয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় সোনা ও রুপো-সহ মোট ৭টি পদক জিতেছে বাংলা। অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিভাগে সোনা পেয়েছে বর্ধমানের ভারতী বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী জয়শ্রী পাত্র। একই বিভাগের আর্টিস্টিক যোগাসনে রুপো পেয়েছে বর্ধমান পৌর বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সৌমি ঘোষ। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লির রাজকীয় প্রতিভা বিকাশ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বাংলার ৪০ জনের দল যোগ দিয়েছিল।
|
আম্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ে সাফল্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সম্প্রতি অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পূর্ব-ভারত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ৪টি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। লঘু-সংগীত বিভাগে প্রথম হয়েছেন অনিন্দিতা চন্দ্র। কার্টুনিং আর পোস্টারিংএই দুই বিভাগেই প্রথম হয়েছেন সৌমিত্র মণ্ডল। বৃন্দগানেও সেরা বিদ্যাসাগরের দল। দলে ছিলেন উৎপল সরকার, কেশব দাস, বিদেশ বসু, শ্রেয়সী সুকুল ও অনিন্দিতা চন্দ্র। এ ছাড়া রঙ্গোলি বিভাগে দীপঙ্কর সাহা, বক্তৃতায় পিউ মুখোপাধ্যায়, শাস্ত্রীয় সংগীতে শ্রেয়সী সুকুল দ্বিতীয় এবং মিমিক্রি (অনুকরণ)-তে বিশ্বনাথ গোস্বামী তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। ফলাফলের বিচারে বাংলার বিশ্ববিদ্যালগুলির মধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই সবার আগে রয়েছেন। এ বার নাগপুরে আগামী ২২-২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাচ্ছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। |