হুঁশিয়ারি কিংফিশার-এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসকে
যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে আপস
নয়, জানাল ডিজিসিএ
র্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় যাত্রী নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশের বিমান সংস্থাগুলি সমঝোতা করছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। বৃহস্পতিবার যে বিষয়ে সিলমোহর লাগাল বিমান চলাচলে দেশের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। এ নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ডিজিসিএ বৃহস্পতিবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, অর্থ সঙ্কট থাকলেও যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ভাবেই আপস করা চলবে না। বিকল্প উপায় ভাবতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকেই। পাশাপাশি, তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় কিংফিশার ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের দৈনন্দিন কাজকর্মে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখতে পেলেও এই মুহূর্তে এই দুই সংস্থার উড়ান ‘লাইসেন্স’ বাতিল করা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ডিজিসিএ।
এ দিনই প্রথম বার দেশের বিমান সংস্থাগুলির আর্থিক অবস্থা নিয়ে তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে ডিজিসিএ। যেখানে দেখা গিয়েছে, এই মুহূর্তে তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে দেশের সমস্ত বিমানসংস্থাই। কী করে এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যায়, সে বিষয়ে একটি রূপরেখাও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। যার মধ্যে রয়েছে পরিস্থিতি বুঝে উড়ান সংখ্যা কমানো, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে যে ক’টি উড়ান চালালে ক্ষতি সবথেকে কমানো যায় সেক’টিই চালানোর মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ। ডিজিসিএ প্রধান ভারত ভূষণ রাতে জানান, কিংফিশার এয়ারলাইন্স ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস-সহ স্পাইসজেট, গো-এয়ার, ইন্ডিগো, জেট এয়ারওয়েজ, জেটলাইটের মতো সব বিমান সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেই তাঁদের সমস্যার ক্ষেত্রগুলি নিয়ে পর্যায়ক্রমে বৈঠকে বসেছেন ডিজিসিএ কর্তারা। তবে ভারত ভূষণের আশ্বাস, বিমান সংস্থাগুলির আর্থিক সঙ্কট রয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই মুহূর্তে উড়ান লাইসেন্স বাতিল করতে হতে পারে, কোনও সংস্থার সামনেই এমন আশঙ্কা নেই।
ডিজিসিএ-র এ দিনের রিপোর্টে বিশেষ করে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে কিংফিশার এয়ারলাইন্স ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের। দু’টি সংস্থার কর্তাদেরই এ দিন ডেকে পাঠিয়ে ডিজিসিএ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এখনই বন্ধ করা না হলেও দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। ডিজিসিএ প্রধান রাতে বলেন, “বেহাল আর্থিক দশার জন্য কিংফিশার যে যাত্রী নিরাপত্তার প্রশ্নে কারচুপি করছে, সমীক্ষায় তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। সে ক্ষেত্রে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার উপযুক্ত কারণ থাকলেও এখনই সে পথে হাঁটছে না ডিজিসিএ।” আগামী সোমবারের মধ্যে এই দুই সংস্থাকে লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে, কোন সময়ের মধ্যে কী পদক্ষেপ করে তারা এই সঙ্কট থেকে বেরনোর পরিকল্পনা করছে।
বিমান মন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিজিসিএ তাদের সমীক্ষায় দেখেছে, কিংফিশার যে ভাবে তাদের একাধিক বিমান কারিগরি ত্রুটির কারণে বসিয়ে রেখেছে তা যথেষ্টই উদ্বেগের। এর দরুণ, একাধিক রুটে তাদের উড়ানও বাতিল করতে হচ্ছে। ওই একই বিজ্ঞপ্তিতে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস সম্পর্কে বলা হয়েছে, উড়ান নিয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা প্রশ্নে কিছু গরমিল রয়েছে। এই সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাদু’টিকে পদক্ষেপ করতে হবে।
সংস্থার কাজের ক্ষেত্রে যে কিছু খামতি রয়ে গিয়েছে তা মানছে কিংফিশারও। কলকাতা-বাগডোগরা-সহ প্রায় ১০-১৫ টি উড়ান যান্ত্রিক কারণে বাতিল করতে হয়েছে বলে মানছেন কর্তারা। ডিজিসিএ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কিংফিশার সিইও সঞ্জয় অগ্রবাল জানান, সোমবারের মধ্যেই বিকল্প পরিকল্পনা তাঁরা জমা দেবেন। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, গত তিন মাসে কিংফিশারের যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দু’-দু’টি সমীক্ষা চালিয়েছিল ডিজিসিএ। যাতে উল্লেখযোগ্য গরমিল পাওয়া যায়নি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.