পাশে থেকে তিল তিল করে নিজের হাতে উত্তরসূরিকে গড়ে তুলছেন রতন টাটা।
৮,০০০ কোটি ডলারের সাম্রাজ্যের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে সাইরাস পালোনজি মিস্ত্রিকে বেছে নেওয়ার পরে, গত মাসে হায়দরাবাদে টাটা গোষ্ঠীর বৈঠকে সব শাখা সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দেওয়া হয়। গোষ্ঠী সূত্রের খবর, সেখানেই মিতভাষী মিস্ত্রি সকলের নজর কাড়েন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন টাটা। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মিস্ত্রির সৌজন্য সাক্ষাতেও সঙ্গী থেকেছেন। রাজনৈতিক মহলের পর এ বার সংবাদমাধ্যমের সামনে কিংবা সর্বসমক্ষে প্রথম উপস্থিতির ক্ষেত্রেও একই ভূমিকা রতন টাটার। বৃহস্পতিবার এখানে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠকে ও পরে প্রদর্শনীতে টাটার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন মিস্ত্রি। |
নয়া সাফারি প্রদর্শনে টাটা ও মিস্ত্রি। |
এ দিন দুপুরে প্রগতি ময়দানের মেলায় টাটা মোটরস এবং ল্যান্ডরোভার-জাগুয়ার-এর গাড়ির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে সকালেই সংস্থার প্যাভিলিয়নে পৌঁছন রতন টাটা ও মিস্ত্রি। বিভিন্ন গাড়ি ঘুরে দেখায় টাটার সঙ্গী হন মিস্ত্রি, টাটা সন্সের ডিরেক্টর কৃষ্ণকুমার, টাটা মোটরস কর্তা রবিকান্ত, পি এম তেলাং এবং ল্যান্ড-রোভার-জাগুয়ারের কর্তারা। টাটা ঘোরেন অন্য প্যাভিলিয়নেও। সকালে-বিকেলে তাঁর গাড়িতেও ছায়াসঙ্গী ছিলেন মিস্ত্রি।
এ দিন মিস্ত্রি মেলায় আসবেন কি না তা নিয়ে রাজধানীর সংশ্লিষ্ট মহলে চর্চা চলছিলই। তিনি কি পূর্বসূরির মতোই গাড়ি ভালোবাসেন, জানতে আগ্রহী ছিলেন সকলে। বিশেষ করে যে গাড়ির ব্যবসা টাটা গোষ্ঠীকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে, তাঁর সঙ্গে কতটা রতন টাটার মতোই নিজেকে মিশিয়ে দিতে পারবেন তিনি, চর্চা হয় তা নিয়েও।
নিজেদের প্যাভিলিয়ন কেমন দেখলেন, প্রতিবেদকের এই প্রশ্নে মিস্ত্রি শুধু বললেন, ‘খুব ভাল’। ফের প্রশ্ন করতে গেলেই স্মিত হেসে থামিয়ে দিয়ে পা বাড়ালেন পূর্বসূরির পথে। টাটা তত -ক্ষণে মেলা ঘোরার গাড়িতে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন প্যাভিলিয়নের বাইরে।
|
কিংফিশারকে অনুৎপাদক সম্পদের তকমা
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আর্থিক সঙ্কটে বেসামাল কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)। বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান প্রতীপ চৌধুরি জানান, বকেয়া ঋণ মেটানোর ক্ষমতা এই মুহূর্তে কিংফিশারের নেই। বিজয় মাল্যের কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে সব থেকে বেশি ঋণ দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্কই (১,৪৫৭ কোটি টাকা)। তার পরেই রয়েছে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক (৭২৭ কোটি), পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (৭১০ কোটি), ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (৫৭৫ কোটি) এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদা (৫৩৭ কোটি)। কিন্তু এই মুহূর্তে কিংফিশারের যা আর্থিক পরিস্থিতি (মোট ধারের অঙ্ক ছাড়িয়েছে ৬ হাজার কোটি), তাতে তাদের পক্ষে ঋণ শোধ দেওয়া সম্ভব হবে না বলেই মনে করছে স্টেট ব্যাঙ্ক। |