পুরনো ধান কেনার দাবি বিজেপি-র |
সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে নতুন ধান, পুরনো ধান, ‘এ গ্রেড’ বা ‘বি গ্রেডের’ ধান নিয়ে কোন বাছবিচার করা যাবে না। কৃষকদের গোলার ধান সরকারকে সহায়ক মূল্যে কিনতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, ব্লকে ব্লকে ধান কেনার জন্য কেন্দ্র না করে পঞ্চায়েতের গ্রাম সংসদ পিছু কেন্দ্র করার আবেদন জানিয়ে বুধবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার এই দাবিতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা একটি মিছিল রামপুরহাট শহরে। নেতৃত্বে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অর্জুন সাহা, সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী-সহ আরও অনেকে। অর্জুনবাবু বলেন, “সরকার পুরনো ধান কেনা বন্ধ করেছে। অথচ বেশির ভাগ কৃষকের ঘরে এখনও পুরনো ধান রয়ে গিয়েছে। সেই ধান কোথায় বিক্রি করবেন চাষিরা! তা ছাড়া, মিড-ডে মিলের ক্ষেত্রেও তো স্কুলে স্কুলে নতুন চাল বিলি করা হচ্ছে না! পুরনো ধানই বিলি করা হচ্ছে। সরকারকে পুরনো ধানই কিনতে হবে।” তাঁদের আরও দাবি, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল প্রথা চালু করতে হবে। যদি তা না হয়, সে ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতেও পাশ ফেল প্রথা তুলে দিতে হবে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে। মহকুমাশাসকের পরিবর্তে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুদর্শন চৌধুরী। তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
|
যান নিয়ন্ত্রণের সময় বদলের দাবি |
অন্য কোথাও রাজস্ব আদায় না করে রামপুরহাট মহকুমার নারায়ণপুর গ্রামে বালি আনতে গেলে ট্রাক্টর মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা এবং রাজস্ব আদায় করছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ তুললেন রামপুরহাট মহকুমা ট্রাক্টর ইউনিয়ন। তাদের অভিযোগ, রামপুরহাট মহকুমার মাড়গ্রাম, দেবগ্রাম, মল্লারপুর, সোনারকুণ্ড, আয়াষ ইত্যাদি জায়গায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে। নেই কোন চেকিং পয়েন্ট। নারায়ণপুর ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে চেকিং পয়েন্টের দাবি তোলে এই সংগঠন। সংগঠনের সম্পাদক বাপ্পা দাস বলেন, “রামপুরহাট শহরে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘নো এন্ট্রি’ লাগু আছে। কিন্তু ওই সময় ছাড়া মাল নামানো বা বোঝাই করতে শ্রমিক পাওয়া যায় না। তাই প্রশাসনকে ‘নো এন্ট্রি’র সময় বদলাতে হবে। এ ছাড়া, ট্রাক্টর মালিকদের বিরুদ্ধে ‘ওভার লোডিং’য়ের কেস দিলে অন্যান্য গাড়িকেও একই কেস দিতে হবে। বৈধতা মেনে ট্রাক্টর মালিকদের ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।” এ দিন, মহকুমাশাসকের বদলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। তিনি দাবির বিষয়গুলি নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
|
বধূর মৃত্যু, ধৃত স্বামী-শাশুড়ি |
বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন তারক ফুলমালি ও সবিতা ফুলমালি। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানা এলাকায় তাঁদের বাড়ি। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মিনতি ফুলমালি (২৬) নামে ওই বধূকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কোনও কারণে ওই বধূকে নলহাটি থানার আটকুলা গ্রামে তাঁর বাপের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই বুধবার তিনি মারা যান। আটকুলা গ্রামের বাসিন্দা আশিস ফুলমালি অভিযোগ করেন, তাঁর বোন মিনতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
|
সরকারি নীতির তোয়াক্কা না করে কুইন্টাল পিছু ৭০০ টাকা, ৮০০ টাকা করে ধান কিনছে রামপুরহাটের খরুণ পঞ্চায়েতের একটি চালকল কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। রামপুরহাট ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সহায়ক মূল্যে যেখানে এলাকার অন্যান্য চালকল কর্তৃপক্ষ কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছে, সেখানে এই পঞ্চায়েতের একটি চালকল কর্তৃপক্ষ তা করছে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে খরুণ পঞ্চায়েতে ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ বন্ধ আছে। অবিলম্বে তা চালু করা হোক। গমের বীজ বিলি করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে।” উপপ্রধান সিপিএমের সনাতন মণ্ডল বলেন, “ওই চালকলের ব্যাপারে খোঁজ নেব। আমার কাছে কোনও মাস্টার রোল নেই। ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ চালু আছে।” দুর্নীতি প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে এলাকার কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক জানেন।”
|
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল দু’জনের। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন ময়ূরেশ্বর থানার গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা অনিল বাগদি (৪৪) ও নলহাটি থানার উজিরপুর গ্রামের যুবক আব্দুল গফফর (২৪)। বুধবার রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনেই পারিবারিক অশান্তির কারণে কীটনাশক খেয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। |