খেলার টুকরো খবর

রস-খস
অন্যের হাতে বার বার মারতে হাত ব্যথা করত। সে সব ভুলে পরের দিন ফের অন্যের হাতে মারতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। তবে কারও হাতে মারাকে দোষের মধ্যে ফেলা যাবে না। কারণ, হাতে মারা ছিল নানুরের তাকোড়ার মীর মাখন আলি বা লাভপুরের শাহআলমপুরের পীযূষ মণ্ডলদের কাছে একটি খেলা। খেলাটির নাম ‘রস-খস’।
মূলত পাঁচ জনের খেলা। ছেলেমেয়ে এক সঙ্গে কিংবা পৃথকভাবে খেলতে পারে। সাধারণত কচিকাঁচা অর্থাৎ প্রাথমিক স্কুলের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই খেলার প্রচলন ছিল। প্রথমে খেলোয়াড়রা পছন্দ অনুযায়ী নিজেদের রস, খস, সিঙারা, বুলবুল এবং মস্ত নাম নিত। এর পরে গণনার মাধ্যমে এক জনকে ‘মোড়’ নির্বাচন করা হয়। খেলার নামে যেমন চমক রয়েছে গণনার মধ্যেও চমক আছে। টসের মাধ্যমে গণনাকারী হিসেবে এক জনকে ‘মোড়’ আওতার বাইরে রাখা হয়। বাকি চার জন ডান হাত একত্র করে উপরের দিকে তুলে ধরে। গণনাকারী রস, খস, সিঙারা, বুলবুল এবং মস্ত বলে একে একে আঙুলগুলি গণনা করে। যার নামে গণনা শেষ হয় সে চলে যায় মোড় আওতার বাইরে। একই ভাবে বাকি দু’জন বাইরে যাবে।
সর্বশেষ জনকে ‘মোড়’ ছাড়াতে হয়। মোড় ছাড়ানোর অর্থ হল- মোড়ধারী তার ডান হাত মাটির উপরে লম্বা করে ধরে থাকবে। বাকিরা একে একে ওই হাতের দুই দিকে চাপড় মারতে থাকে। মোড়ধারী যদি কৌশলে নিজের হাত সরিয়ে নিতে পারে এবং যে চাপড় মারছিল তার নিজের হাতে চাপড় পড়ে তাহলে সে চাপড় মারার অধিকার হারায়। এই ভাবে একে একে চাপড় মারার অধিকার হারানোর পরে নতুন ভাবে নাম নেওয়া এবং গণনা শুরু হয়। এই ভাবে খেলা চলে। মীর মাখন আলি ও পীযূষ মণ্ডলদের কথায়, “টিফিনে বা ক্লাসে শিক্ষক আসার আগে এই খেলা কত খেলেছি। হাত ব্যথা করত। কিন্তু পরের দিন না খেলে থাকতে পারতাম না।”
(হারিয়ে যাওয়া খেলা, পর্ব ৫)।

চ্যাম্পিয়ন রামপুরহাট
জেলা ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত অনূধ্বর্র্ ১৬ আন্তমহকুমা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল রামপুরহাট। রানার্স হয়েছে সিউড়ি মহকুমা। ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩ দিন ব্যাপি জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে ওই প্রতিযোগিতা হয়। প্রথম দিনের খেলায় নির্ধারিত ৩০ ওভারে ৭৬ রানে বোলপুর মহকুমাকে হারায় রামপুরহাট। পরের খেলায় সিউড়ি মহকুমাকে ৩৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয় তারা। এই প্রতিযোগিতা থেকেই আন্ত জেলা ক্রিকেটে যোগ দেওয়ার জন্য ২০ জনকে বাছাই করে দল গঠন করা হয়েছে। ৬ থেকে ৮ জানুয়ারি আন্ত জেলার খেলাটি হবে বহরমপুর স্টেডিয়ামে।

বিবেকানন্দ স্মরণে ফুটবল
স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে আমোদপুর প্লেয়ার্স অ্যাসোশিয়েশনের পরিচালনায় ১২ জানুয়ারি থেকে স্থানীয় ব্লক ময়দানে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের ৮ দলের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা। যোগদানকারী দলগুলি হল, বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল রেসিডেন্সিয়াল ফুটবল কোচিং সেণ্টার, যাদবপুর এক্স ফুটবলার অ্যাসোসিয়েশন, বেলগাছিয়া বালক সংঘ, সোদপুর অর্ক, মাইকেলনগর ফুটবল অ্যাকাডেমি, জৌগ্রাম ফুটবল অ্যাকাডেমি, ঘোলা হাইস্কুল এবং আমোদপুর প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। উদ্যোক্তারা জানান, ১৮ জানুয়ারি ফাইনাল হবে।

সংক্ষেপে
q পাত্রসায়র স্পোটিং ইউনিয়ন পরিচালিত স্পিড ট্রাস্ট পরিবার চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও ছবিরানি দে স্মৃতি রানার্স কাপ নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল হবে ১৬ জানুয়ারি। ফাইনালে মুখোমুখি হবে হাওড়ার বাগনান খাজুটি ফুটবল অ্যাকাডেমি ও হুগলির আরামবাগ স্পোটিং ইউনিয়ন। আয়োজক ক্লাবের সম্পাদক দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, খেলা শুরুর আগে মোটরবাইক মাস্টার মহম্মদ আজহারউদ্দিন মোটরবাইক নিয়ে কেরামতি দেখাবেন।

• বাঁকুড়া জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বাঁকুড়া শহরে শুরু হতে চলেছে পাঁচ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতা। অ্যাসোসিয়েশনের সহসম্পাদক অমরেশ গায়েন জানান, ২১ জানুয়ারি এই প্রতিযোগিতা হবে। ১২ বছরের উপরে যাঁদের বয়স তাঁরা যোগ দিতে পারবেন। জেলার যে কেউ এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর দফতরে আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে।

• পরিষদীয় দফতরের উদ্যোগে মঙ্গলবার মানবাজারের রাধামাধব বিদ্যায়তনে ব্লক ভিত্তিক যুব সংসদ ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা হয়েছে। যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে মানবাজার বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে আশিডি সি আর সি জি বিদ্যাপীঠ ও রাধামাধব বিদ্যায়তন। প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে রাধামাধব বিদ্যায়তন, আনাড়া আশ্রমিক বিদ্যালয় ও রামনগর হাইস্কুল। যুব সংসদে ৫টি ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় ১১টি স্কুল যোগ দিয়েছিল।q বিষ্ণুপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ক্রিকট লিগ শুরু হতে চলেছে বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে। এই খেলায় কলকাতা-সহ রাজ্যের সুপার ডিভিশনের আটটি দল, প্রথম ডিভিশনের বারোটি দল ও দ্বিতীয় ডিভিশনের ছ’টি দল অংশ নেবে। সংস্থার সম্পাদক বরুণ দে জানান, সপ্তাহ দু’য়েক পর এই লিগের খেলা শুরু হবে।

• জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে কাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে রামপুরহাট মহকুমা আন্তঃক্লাব লিগ কাম নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে এই খেলা হবে। মহকুমার ১৬টি ক্লাব এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে।
অন্য দিকে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে এবং রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় ৭ জানুয়ারি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এক দিনের মহকুমা আন্তঃক্লাব ভলিবল প্রতিযোগিতা। ৮টি ক্লাব যোগ দেবে।

• ময়ূরেশ্বরের নওয়াপাড়া নেতাজি সঙ্ঘের পরিচালনায় ২৫ ডিসেম্বর থেকে স্থানীয় স্কুল মাঠে শুরু হয়েছে ২৪ দলের নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। উদ্যোক্তারা জানান, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল হবে।

দুবরাজপুরে ক্রিকেট
২ জানুয়ারি শেষ হল দুবরাজপুর নায়কপাড়া স্পোর্টস ক্লাব পরিচালিত রামভদ্র নায়ক এবং দিলীপ উপাধ্যায় স্মৃতি নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডের খেলা। ২৫ ডিসেম্বর ৩২টি দলের এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলার দু’টি পর্বে দুবরাজপুর নওজওয়ান সঙ্ঘ ও সাতকেন্দুরি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুবরাজপুর থ্রিস্টার ও দুবরাজপুর স্পোর্টস লাভারের খেলা হয়। ১২ জানুয়ারি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.