উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা শহরের মধ্যে রেল গেট সম্প্রসারণের জন্য মঙ্গলবার রেলের তরফে বেশ কিছু দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ দিন সকালে রেলের কর্তাদের উপস্থিতিতে হাবরা-১ নম্বর রেল গেটের দু’পাশ থেকে ৯-১০টি দোকানঘর ভেঙে দেওয়া হয়। উচ্ছেদের সময় যাতে কোনও গোলমাল না হয় সে জন্য রেল পুলিশ ছাড়াও ছিল হাবরা থানার পুলিশ। যদিও ওই সব দোকান উচ্ছেদের সময় কোনও বাধার সম্মুখে পড়তে হয়নি রেল কর্তৃপক্ষকে। রেলের শ্রমিকেরা এ দিন সকাল থেকেই ওই সব দোকান ভাঙার কাজে নেমে পড়েন। |
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, হাবরা-১ নম্বর রেলগেটকে চওড়া করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান। রেলগেটটি হারবার শহরের মধ্যে যশোহর রোডে। অপরিসর হওয়ার জন্য গেটের দু’দিকে যানজট লেগেই থাকত। তার উপর একবার গেট পড়লে তা খোলার পরে যানজট কাটতে দীর্ঘক্ষণ লেগে যেত। এ সবের জন্যই গেটটি চওড়া করার সিদ্ধান্ত হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রেলগেটটি চওড়া করার। এ জন্য ওই সব দোকান ভেঙে ফেলার জন্য দোকানমালিকদের আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বিষয়টি জানানোও হয়েছিল। দোকানগুলি ভেঙে ফেলার পরে শীঘ্রই রেলগেটটি চওড়া করার কাজ শুরু হবে।” নিত্য যানজটে নাকাল সাধারণ যাত্রীরা রেলগেটটি চওড়া হওয়ার খবরে খুশি। তাঁদের বক্তব্য, রেলগেটটি চওড়া না হওয়ার জন্য রোজ যানজটে নাকাল হতে হত। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হত। গেটটি চওড়া হলে সুবিধাই হবে। এ দিন যে সব দোকান ভাঙা হয়েছে সেই সব দোকানের মালিকদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “হাবরায় একটি ‘হকার জোন’ তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য রাজ্য সরকার অর্থও বরাদ্দ করেছে। ওই জায়গাতেই উচ্ছেদ হওয়া দোকান মালিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।” |