টুকরো খবর
কেকেআর কোচ এ বার বেলিস
আইপিএল ফাইভে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচ হচ্ছেন ট্রেভর বেলিস। চার বছর শ্রীলঙ্কার কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বেলিস। তাঁর কোচিংয়ে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কা। “বেলিসের অভিজ্ঞতা, কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য এবং উপমহাদেশের পরিবেশ সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান সব মিলিয়ে আমাদের বিশ্বাস উনি কেকেআর-কে আরও ভাল খেলতে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন,” এ দিন এক সরকারি বিবৃতিতে বলেছেন কেকেআর মালিক শাহরুখ খান। বেলিস নিজে বলেছেন, “আইপিএল এবং কেকেআরের পারফরম্যান্স দুটোর ব্যাপারেই আমি ওয়াকিবহাল। এই টিমের অংশ হতে পেরে গর্ব হচ্ছে। টিম, সাপোর্ট স্টাফ, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক এবং ম্যানেজমেন্ট সবাই খুব ভাল। সবার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।” প্রসঙ্গত, ২০১০ এবং ২০১১-র আইপিএলে কেকেআরের কোচ ডাভ হোয়াটমোরের পাকিস্তানের জাতীয় কোচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইপিএলের চার সংস্করণের মধ্যে গত বারই সব চেয়ে ভাল ফল করেছিল কলকাতা। নক আউটে তারা হারে মুম্বইয়ের কাছে।

ডেম্পোকে হারিয়ে লিগ জমাল প্রয়াগ
আই লিগ জমিয়ে দিল প্রয়াগ ইউনাইটেড। প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে ডেম্পোকে ২-১ হারিয়ে। তা-ও মারগাওয়ের মাঠে! আই লিগের ইতিহাসে এই প্রথম ডেম্পোকে হারাল প্রয়াগ ইউনাইটেড। ২১ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে নিজেরা খুব বেশি উঠতে না পারলেও ডেম্পোকে আটকে রাখল ২৭ পয়েন্টে। একসঙ্গে যা সুবিধা করে দিল চার্চিল, ইস্টবেঙ্গলের। এ বারের লিগে এটা ডেম্পোর চার নম্বর হার। যার মধ্যে তিনটিই ঘরের মাঠ ফতোরদা স্টেডিয়ামে। গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের হেডে যখন ম্যাচে দ্বিতীয় বার এগিয়ে গেল প্রয়াগ, তখন খেলার বাকি ছিল ১২ মিনিট। শেষ ওই ক’টা মুহূর্ত ভালোয় ভালোয় কাটিয়ে দিলেন বেলো রজ্জাক, দীপক মণ্ডল, অর্ণব মণ্ডলরা। ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটেই ঝটকা দিয়েছিলেন জোসিমার। তাঁর গোলেই ১-০ এগিয়ে গিয়েছিল প্রয়াগ। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে ১-১ করেন র্যান্টি মার্টিন্স। তাঁর সামনে ডেম্পোকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগও এসেছিল। কিন্তু র্যান্টির হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। জোসিমারের বদলি ভিনসেন্টও অবশ্য গোল মিস করে ৩-১ জেতার সুযোগ হারান।

বাস্কেটবলে জয় পেল বর্ধমান
পূর্বাঞ্চল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবলে সাফল্যের খরা কাটাল বর্ধমানের। এই প্রতিযোগিতায় গত বারের রানার্স কলকাতাকে তারা হারিয়েছে ৪৮-৩৯ পয়েন্টে।প্রচিযোগিতার প্রথম ম্যাচে ওয়াকওভার পায় বর্ধমান। পরের ম্যাচে তারা ৬৩-৩২ পয়েন্টে আচার্য বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে হারায়। তার পরে ৭১-৬৮ পয়েন্টে হারায় কাশী মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়কে। মূলপর্বের লিগ পর্বে ওঠা বর্ধমানকে ফাইনালের দিন সকালে একটি ম্যাচ খেলতে হয়। তাতে তারা ৬৯-৫৯ পয়েন্টে হারায় বেনারসকে। অন্য দিকে, পূর্বাঞ্চল প্রতিযোগিতা ছেড়ে চলে যাওয়ায় বর্ধমান-সহ অন্য দলগুলিকে তিনটির বদলে দু’টি করে ম্যাচ খেলতে হয়। এই জয় সম্পর্কে দলের বর্ধমান দলের অধিনায়ক আরিফ হোসেন মোল্লা বলেন, “আমাদের দলের প্রায় সকলেই বর্ধমানের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে এক সঙ্গে অনুশীলন করি। তাই চেনা পরিবেশে কলকাতাকে হারাতে সুবিধা হয়েছে।” কলকাতা দলের কোচ নিতাই বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমাদের পরপর দু’টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। যথেষ্ট বিশ্রাম পেয়ে খেলতে নামায় আজ ছিল বর্ধমানেরই দিন।”এই সাফল্যের জন্য খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্ধমানেক স্পোর্টস অফিসার সুরজিৎ নন্দী। ১১ জানুয়ারি থেকে জয়পুরে শুরু হবে সর্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল। সেখানে যোগ বর্ধমান ছাড়াও যোগ দেবে পূর্বাঞ্চল বাস্কেটবলে ফাইনালে ওঠা কলকাতা, সেমিফাইনালিস্ট বেনারস ও পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়।

ক্রিকেটে তৃতীয় রাজ্যের দুই দল
জাতীয় সিনিয়র টেনিস বলে ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান পয়েছে এ রাজ্যের পুরুষ ও মহিলা দল। দু’টি দলেই ছিল বর্ধমান শহরের ছেলে-মেয়েদের আধিক্য। গোয়ায় ছেলেদের দল সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুর কাছে হারার পরে ঝাড়খণ্ডকে ২৫ রানে পরাজিত করে তারা তৃতীয় হয়। মহিলারা সেমিফাইনালে মাত্র এক রানে হারে বিদর্ভের কাছে। তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে তারা ১৫ রানে মধ্যপ্রদেশকে হারিয়ে দেয়। মহিলা দলের সাফল্যে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মহিলা দলের কোচ কাম ক্রিকেটার জেসমিনা খাতুন বলেন, “বাইরের সমস্ত প্রতিযোগিতায় আমাদের নিজেদের টাকায় খেলতে যেতে হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী সাহায্য করলে নিঃসন্দেহে উপকৃত হব।” ছেলেদের দলের অধিনায়ক সুজয় ঘোষের কথায়, “আমাদেরও সাহায্য করার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হবে।”

লিজ ক্রিকেট শিখছেন ওয়ার্নের কাছে
ক্রিকেট নিয়ে তাঁর একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে শেষমেশ লিজ হার্লিকে ক্রিকেট শেখাতে শুরু করে দিলেন শেন ওয়ার্ন। “এলিজাবেথ ক্রিকেট নিয়ে এত প্রশ্ন করে! মনে হচ্ছে পুরনো জার্সিটা বের করে ওকে একটু স্লেজ করতে হবে। তা হলেই বুঝে যাবে!” টুইট করেছেন ওয়ার্ন। যেমন কথা তেমন কাজ। এর পরে টুইট করে ওয়ার্ন জানান, “গত রাতে টেস্টের সাদা জার্সি পরে এলিজাবেথকে স্লেজিং শেখালাম!”

তিরন্দাজিতে সাফল্য
তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় ফের সাফল্য পেল বীরভূম। ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদ আয়োজিত মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে জাতীয় বিদ্যালয় তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় ‘ইন্ডিয়ান রাউন্ডের’ জুনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ান হয়ে সোনা পেয়েছে মহম্মদবাজারের হেরুকা হাজি সুলেমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র লক্ষণ হেমব্রম। সিনিয়র বিভাগে ব্যাক্তিগত এবং দলগত দু’টি ইভেন্টেই তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছে লাভপুরের কুরুম্বা মুকুন্দলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রাজকুমার দাস। বীরভুম থেকে ৩ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। অন্য জন কুরুম্বা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সুনীল টুডু। এর আগেও ওপেন ন্যাশনাল তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় লক্ষণ প্রথম এবং রাজকুমার দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। দুজনেই বোলপুর ‘সাঁই স্যাজ’ সেণ্টারে প্রশিক্ষণ নেয়।

রাজ্য স্কুল যোগাসন ও রাজ্য স্কুল ক্রিকেট দলের কোচ
নির্মল নন্দী ও ঝুমা রজক।
রাজ্য স্কুল যোগাসন ও রাজ্য স্কুল ক্রিকেট দলের কোচ নির্বাচিত হন পুরুলিয়ার দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা। জেলা স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে পুরুলিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষক নুরউদ্দিন হালদার জানান, আড়শার আহাড়রা গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা ঝুমা রজক যোগাসনে এবং বরাবাজারের লটপদা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্মল নন্দী ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পেয়েছেন।

রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

পূর্ণিমা সিং।
রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দু’টি সোনা পেল পুরুলিয়া। ২৮-৩০ ডিসেম্বর কলকাতার যুবভারতীতে রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড় ও হাঁড়িভাঙা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় মানবাজার ১ চক্রের পিয়ালশোল প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া পূর্ণিমা সিং ও বান্দোয়ান ২ নম্বর চক্রের বারুডি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া প্রসেনজিৎ মাহাতো। ২০১০ সালে রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতেও পূর্ণিমা ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছিল।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.