তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের জিয়ার-বড় কাশিয়াড়া গ্রামে। এই ঘটনায় জখম তিন তৃণমূল সমর্থককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের পাল্টা দাবি, ওই দিন তৃণমূলের হামলায় তাদেরই ১২ জন সমর্থক জখম হয়েছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি, তৃণমূলের ছাত্র নেতা সুশান্ত পালের অভিযোগ, “চাষিদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ধান কেনা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদির প্রতিবাদে সিপিএম রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় আজ, বুধবার বন্ধ ডেকেছে। |
রবিবার এই বন্ধের সমর্থনে সিপিএম একটি মিছিল করে এলাকায়। সোমবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করে পাল্টা মিছিল করা হয় ওই গ্রামে। বড় কাশিয়াড়ার পাথরপুকুরের কাছে মিছিলটি পৌঁছলে সিপিএমের শতাধিক সমর্থক ওই হামলা চালায়।” এই ঘটনায় আহত তিন জনকে সোমবার রাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিকে, সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য প্রদীপ তা-র পাল্টা অভিযোগ, “রবিবার বন্ধের প্রচারে আমাদের স্থানীয় লোকাল কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন উপপ্রধান অরবিন্দ পাঁজা পাঁচকুলা গ্রামে যান। তাঁকে তৃণমূলের লোকেরা আক্রমণ করে। তিনি একটি পাড়ায় আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচেন। সোমবার তৃণমূলের লোকজন ওই গ্রামে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষজনকে হুমকি দিয়ে বলে, বন্ধের দিন যারা কাজে যাবে না, তাদের আর কোনও কাজ দেওয়া হবে না। গ্রামের মহিলারা এর প্রতিবাদ করায় ওরাই তাঁদের আক্রমণ করে। তাতে আমাদের ১২ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।” তাঁদের মধ্যে চার জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে প্রদীপবাবু জানান। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |