গাড়ির পারমিট এবং চালকের লাইসেন্স ডাক মারফত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই পদ্ধতির জন্য আবেদনকারীকে ৫০ টাকা জমা দিতে হবে দফতরে। এই নয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে ৭২ ঘণ্টা বেলতলার মোটর ভেহিকেলস দফতর অবরোধ করবে বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন এবং মোটর ট্রেনিং স্কুল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-সহ কয়েকটি পরিবহণ সংগঠন। বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল গুহ শনিবার বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্ত হঠকারী। এর ফলে সাধারণ চালক এবং শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়বেন।” সংগঠনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এত দিন শিক্ষার্থী এবং সাধারণ চালকেরা মোটর ট্রেনিং স্কুল বা সংগঠনের কাছ থেকে হাতে হাতেই পারমিট বা লাইসেন্স সংগ্রহ করতেন। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে সেই প্রক্রিয়া জটিল হবে এবং খরচও বাড়বে। বিমলবাবুর অভিযোগ, ডিজেলের দাম বাড়লেও সরকার ট্যাক্সি বা বাসের ভাড়া বাড়াচ্ছে না। এর প্রতিবাদে তাঁরা ১৩ জানুয়ারি বিক্ষোভ দেখাবেন। ওই দিন পরিবহণ সংগঠনের সদস্যেরা গাড়ি চালানোর পরিবর্তে নিজেরাই গাড়ি ঠেলে প্রতিবাদ জানাবেন।
|
সিপিএমের ‘দাদাগিরি’ বন্ধ করতে যে ভাবে বামফ্রন্ট শরিক সিপিআই সমস্ত শরিকদল থেকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান করার দাবি তুলেছে, তার সঙ্গে এখনই পুরোপুরি ‘একমত’ হতে পারছে না ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি। তাদের মতে, আগে বিষয়টি বামফ্রন্টের বৈঠকে উঠুক। তার পর আলোচনা হবে। দু’দলের নেতারাই জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তাড়াহুড়ো করতে নারাজ। সিপিএম জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সিপিআই আগে বামফ্রন্টের বৈঠকে প্রস্তাব দিক। তার পরে আলোচনা। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার আগে যেমন ‘আহ্বায়ক’ পদ ছিল, সিপিআই তেমনই এক বা যুগ্ম আহ্বায়কের দাবিও তুলেছে। এ ব্যাপারে আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামী বলেন, “আমরা কিছু ভাবিনি। বড় দল হিসাবেই ফ্রন্ট পরিচালনার জন্য ১৯৭৭ সালে বাম সরকার গঠনের সময় থেকেই বরাবর সিপিএম থেকে চেয়ারম্যান ঠিক করা হয়ে আসছে। কিন্তু এখন সেই রীতি বদলানোর জন্য শুধু দাবি তুলে গুণগত পরিবর্তন হবে না। যদি সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব মনে করেন, সব শরিক দলই সমমর্যাদার, তবেই রীতির পরিবর্তন করে লাভ হতে পারে।” ফব নেতা হাফিজ আলম সৈরানি জানান, সিপিআইয়ের দাবির ব্যাপারে তাঁরা এখনও কিছু ভাবেননি। সৈরানিরও মতে, “সিপিআই আগে বিষয়টি বামফ্রন্টের বৈঠকে তুলুক। তার পরে আমরা দলে আলোচনা করব।” |