কলকাতা বিমানবন্দরের নির্মীয়মাণ টার্মিনালে শনিবার দুপুরে কাজ করার সময়ে আগুন লেগে গেল। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা জানিয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি নয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরের পাশেই যে নতুন ও আধুনিক টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে, মার্চ মাসে তার কাজ শেষ হওয়ার কথা। তাই দিন-রাত সেখানে কাজ চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্য শহর থেকে কলকাতায় এসে যাত্রীরা নতুন টার্মিনালের যে এলাকা দিয়ে বাইরে বেরোবেন, সেখানেই এক তলায় এসি-রুমে ঝালাইয়ের কাজ হচ্ছিল। অনুমান, বিকেল তিনটে নাগাদ সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। খবর পেয়ে বিমানবন্দরের দমকল এবং রাজ্য দমকলের দু’টি গাড়ি গিয়ে কর্মীদের সেখান থেকে নিরাপদে বের করে। পৌনে চারটে নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। কর্তৃপক্ষের যে ইঞ্জিনিয়ারেরা এই কাজের তদারিকতে রয়েছেন, তাঁরা এখন বিভিন্ন দাবিতে ‘নিয়মমাফিক কাজ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার ছুটি থাকায় তাঁরা কেউই আসেননি। তাঁদের অভিযোগ, তদারকি ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তা না শোনার জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে।
|
কলকাতার প্রায় ৫০ হাজার পথশিশুকে ‘অবৈধ’ জন্মনথি দেওয়ার ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হচ্ছে। শনিবার কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মেয়র পারিষদের বৈঠকে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে প্রাক্তন বিচারপতি অসিতকুমার বিশীকে।” ২০০৭ সালে বাম পুরবোর্ডের আমলে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও অফিসারের সিল ছাড়াই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ওই সংশাপত্র বিলি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২০১০-এ তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভার ক্ষমতায় বসার পরে এ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে। সেই রিপোর্টে পুরসভার বেশ কয়েক জন পদস্থ কর্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুরসভার অধিবেশনে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার দাবি ওঠে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ শনিবার জানান, শীঘ্রই কমিটির কাজ শুরু হবে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে বিচারবিভাগীয় তদন্তের কাজ শেষ হবে বলে মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। |