এ বার কলকাতায় বসেই তৈরি করা যাবে টিনটিনের মতো ত্রিমাত্রিক বা ‘থ্রি-ডি’ ছবি। সাধারণ ছবি বা বিজ্ঞাপনে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্যও বার বার দৌড়তে হবে না ভিন্ রাজ্যে। কমবে খরচও। চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রযুক্তি তৈরির সংস্থা প্রাইম ফোকাস টেকনোলজিস-এর দাবি, কলকাতায় তাদের নয়া কেন্দ্রে এই সমস্ত আধুনিক পরিষেবাই মিলবে। সম্প্রতি চালু হয়ে গিয়েছে স্টুডিওটি।
১৯৯৭ সালে ৪ জন মিলে সংস্থাটি চালু করেন মুম্বইয়ের এক গ্যারাজে। এখন ভারতের পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকায় ১৬টি কেন্দ্রে রয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী। এ বার এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে কলকাতাও। কসবা শিল্প তালুকের কাছে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮ হাজার বর্গ ফুটের স্টুডিও।
সংস্থার এমডি ও সিইও (ইন্ডিয়া) রামকি শঙ্করনারায়ণন জানান, কলকাতা দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মেধা- সম্পদেরও ঘাটতি নেই। সেই কারণেই এই শহরকে বেছে নেওয়া। শুধু চলচ্চিত্র নয়, টিভি অনুষ্ঠান বা বিজ্ঞাপনের কাজও হবে এই কেন্দ্রে। এক কথায়, প্রাক-প্রযোজনা (প্রি-প্রোডাকশন) থেকে শুরু করে ছবি তৈরির পরবর্তী সব প্রযুক্তিগত কাজই করা যাবে। ‘ক্লাউড’ প্রযুক্তির সাহায্যে এখানে বসেই সংস্থার অন্য কেন্দ্রের (প্রয়োজনে ভিন্ দেশের) আধুনিক প্রযুক্তিও মিলবে। ফলে বদলে যাবে এ শহরের বিনোদন ব্যবসার ছবি।
শঙ্করনারায়ণনের দাবি, চলচ্চিত্র বা বিজ্ঞাপনের মান নির্ভর করে প্রযুক্তির উপর। চলচ্চিত্রায়নের জন্য ভাল ক্যামেরা যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি তার পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিও।
স্টুডিওটি গড়তে ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে সংস্থা। অনেকেরই মতে, কলকাতার বিনোদন জগতের কাছে এই কেন্দ্রের গুরুত্ব অনেক। কারণ, এখন এ ধরনের কারিগরি সাহায্য পেতে ভিন্ রাজ্যে দৌড়তে হয় তাদের। এ বার হাতের কাছে এই পরিষেবা মেলায় খুশি চলচ্চিত্র পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরি, প্রযোজক সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর কর্তা শ্রীকান্ত মোহতা প্রমুখ। অনিরুদ্ধবাবু বলেন, “এই ব্যবস্থা কলকাতায় নেই। মুম্বই যেতে হয়।” তাঁর দাবি, এতে বিশেষত বিজ্ঞাপন তৈরির সুবিধা হবে। আসবে বড় বাজেটের বিজ্ঞাপন তৈরির বরাত। মোহতার মতে, চলচ্চিত্র তৈরির খরচও এতে কমবে। সহজ হবে বড় বাজেটের ছবি তৈরি করা। |