|
|
|
|

সংস্কৃতি যেখানে যেমন |
সুবর্ণজয়ন্তী |
দীর্ঘ মহড়ার দুদিন ধরে বর্ণময় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করল সেন্ট জোসেফ’স হাই স্কুল, মাটিগাড়া। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর স্কুলের নিজস্ব মাঠে ওই অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রীরা তো বটেই, উদ্যোক্তাদের পরিচালিত ‘সাক্ষরতা’ সেলে নিখরচায় যে ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে, তারাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। নানা অনুষ্ঠানে সাক্ষরতা বিভাগের পড়ুয়ারা যে ভাবে পাল্লা দিয়েছে তাতে উচ্ছ্বসিত সকলেই। নানা রাজ্যের নাচ-গানের দৃশ্য তুলে ধরে ছাত্রীরা। উল্লেখ্য, স্কুলের পক্ষ থেকে নিয়মিত কয়েকশো দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীকে সাক্ষরতা বিভাগের আওতায় রেখে পড়াশোনা করানো ও খাওয়া-দাওয়া ও জামাকাপড়, বইখাতার ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়ি শহরের খালপাড়ায় ‘শরাফ ভবনে’ একটু জায়গা মিলেছিল। ১৯৬১ সালে সেখানেই শুরু হয়েছিল পথ চলা। ধীরে ধীরে কেটেছে ৫০ বছর। ‘ডটারস অব দ্য ক্রস’- সংস্থার উদ্যোগে গড়ে ওঠা সেই স্কুলটি এখন উত্তরবঙ্গে প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানের গোড়াতেই স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষা সিস্টার মার্গারেটের বক্তৃতায় ধরা পড়ে প্রতিষ্ঠানের অতীত-বর্তমানের নানা ছবি ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন। খালপাড়ায় স্কুলটি যখন শুরু হয়, তখন তা ছিল ছেলেমেয়ে সকলের জন্যই। পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্কুলটি সরানোর জন্য সিস্টারদের তরফে জমির খোঁজ চলতে থাকে। সেই সময়ে দার্জিলিঙের জেসুইট ফাদার স্কুলকে মাটিগাড়ায় ৫ একর জমির ব্যবস্থা করেন। ১৯৬৪ সালে ৮ সেপ্টেম্বর নয়া ভবনের শিলান্যাস হয়। সেই সময়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল মাত্র ২৩৫ জন। ১৯৭২ সালে মাটিগাড়ায় নতুন ভবন তৈরি হয়। ধীরে ধীরে স্কুলটি মেয়েদের জন্য চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্কুলের তরফে প্রাক্তন অধ্যক্ষা মেরি ভিয়ানে, সিস্টার রেজিনা, সিস্টার ডমিনিকা, সিস্টার রোজালিয়া, সিস্টার জেরার্ড মামেলা, সিস্টার জেন ফ্রান্সিস, সিস্টার জোশেফ সেলিনা সহ অনেকের অবদানের কথা বারেবারেই উল্লেখ করা হয়।, রেভারেন্ড ফাদার পাপ্পুর সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত সহ পুলিশ-প্রশাসনের পদস্থ অফিসাররা উপস্থিতি ছিলেন। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে স্কুলে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় যোগ দেন, বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের জ্যোতির্বিজ্ঞানি দেবীপ্রসাদ দুয়ারিয়া। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা নিজেরাই করেছেন।
|
যুব উৎসব |
মালবাজারে যুব উৎসব, যেন পাহাড়-ডুয়ার্সের মিলনমেলা । একই মঞ্চে হাজির পাহাড়-ডুয়ার্সের লোকসংস্কৃতি। সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ। সৌজন্যে রাজ্য ছাত্র যুব উৎসব। বুধ ও বৃহস্পতিবার দু দিন ধরে মালবাজারের আর আর প্রাথমিক স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাহাড়-ডুয়ার্স যুব উৎসবে দু’দিনে ২০০ জন শিল্পী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। কখনও কালিম্পঙ থেকে আসা শিল্পীরা পাহাড়ের চিরাচরিত লোকসংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছেন নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে। আবার কখনও ডুয়ার্সের কুমলাই চা বাগানের আদিবাসী শিল্পীদের নাচগানে মেতে উঠেছেন। তিস্তা পাড়ের পরিচিত ভাওয়াইয়া থেকে কলকাতা থেকে আসা শিল্পীদের যাত্রা ও গানের অনুষ্ঠান, কিছুই বাদ যায়নি উৎসবে।রাজ্য ছাত্র যুব উৎসবের মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলতি বছরে দীঘা, ঝাড়গ্রাম ও মালবাজারে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। হাতির পিঠে চা পাতা তোলার ঝুড়ি, এই লোগো নিয়েই গত বুধবার মালবাজারে পাহাড়-ডুয়ার্স উৎসবের সূচনা হয়। ‘পাহাড়-ডুয়ার্স, দুই বোন, এক প্রাণ, এক মন’ উৎসবের লোগোর নীচে লেখা এই দুটি লাইন। যা কি না উৎসবের মূল বার্তা। উৎসব পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “দু’দিন ধরে অগণিত মানুষ উৎসব দেখতে এসেছেন। সকলকে সামিল করে সরকারি উৎসবের এমন উদ্যোগ আগে কখনও হয়নি। পাহাড় থেকে ডুয়ার্স সকলেই যে এক সুত্রে গাঁথা হয়েছে এই বার্তা দিতেই এই উৎসবের আয়োজন। অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের বেশি সংখ্যক উপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে উৎসব সফল। গোটা অনুষ্ঠানে শিল্পী সহ আয়োজকদের খাবারের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।”
|
অণুনাটক উৎসব |
অণুনাটক উৎসব হল বালুরঘাটে। ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসব হয় স্থানীয় রবীন্দ্র ভবনে। উদ্যোক্তা, ‘সৃজন’ নাট্যগোষ্ঠী। ৩ বছরে পা দিয়েছে উদ্যোক্তা সংস্থাটি। কিন্তু, আয়োজন মন কেড়েছে সকলেরই। যে নাটকগুলি হয়েছে, সেগুলি হল শিকড়ের খোঁজে, অস্তরাগ (সৃজন, বালুঘাট), ফাঁকা ডাব (কুশমণ্ডি), ফিরে দেখা (সৃজনসেনা, শিলিগুড়ি), আত্মহনন (আনর্ত, জলপাইগুড়ি), আমার এ পথ, বির প্রজডাপতি (আমরা কজন, হুগলি), নিরুত্তর (ছন্দনীড়, নব ব্যারাকপুর), জম্পতি (পাণ্ডুয়া, হুগলি), পোকামাকড়ের কুটুম (ময়ূখ নাট্যগোষ্ঠী, ব্যারাকপুর)), ধাক্কা (শপথ, বালুরঘাট), ভরতের ঝুমঝুমি, উন্মনামন (গণকণ্ঠ, বীরভূম)।
|
শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে অনুষ্ঠান ‘গীতাঞ্জলি’র |
সম্প্রতি শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনী হল প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী সুধীন দাশগুপ্তের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করল গীতাঞ্জলি সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্র। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সঙ্গীত শিল্পী সুজাতা সরকার। মঞ্চে ছিলেন সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়, পরিতোষ চক্রবর্তী ও বাসু সরকার। সুজাতা দেবীকে সংবর্ধনা জানান উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে পাঞ্চালী চক্রবর্তী। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশ করেন অভ্রাংশু সরকার ও সোমদূতি দাস। পরে সুধীন দাশগুপ্তের কথা ও সুরে সুজাতা সরকারের গান সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে একমাত্র শিশুশিল্পী ছিল তনুস্মিতা ঘোষ।
|
নানা অনুষ্ঠান মালে |
মালবাজারের নিবেদিতা বিদ্যা নিকেতন ও লিটল স্টার অ্যাকাডেমির বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল ২১ ডিসেম্বর মাল কলোনির মাঠে। মাল পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রতিম সরকার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নন্দিতা সরকার ছিলেন। তিন কাউন্সিলর হরেন্দ্রনাথ ঘোষ ও শুক্লা ঘোষ, প্রভাত মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের কর্ণধার নীতা সাহা জানান, ছাত্রছাত্রী সহ সকলের উদ্যোগেই অনুষ্ঠান সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
|
গুণিজন সংবর্ধনা |
৩০তম উত্তরবঙ্গ নাট্যজগৎ উৎসব |
দুদিন ধরে হল উত্তরবঙ্গ নাট্য জগৎ উৎসব। প্রথম দিন ২৪ নভেম্বর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ হলে গুণীজন সংবর্ধনা হয়। দ্বিতীয় দিন শহরের উপকণ্ঠে বসুন্ধরায় হয় সাতিহ্য মেলা। সেখানে দিনভর নানা অনুষ্ঠান হয়। আলোচনাসভা, কবিতা পাঠ হয়। |
|
|
 |
|
|