|
|
|
|
অজর, অমর, অক্ষয় |
প্রেম, ঘ্যানঘ্যানানি এবং আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছু, যা ফুরোবে ফুরোবে করেও ফুরোয় না।
|
আশা |
প্রতি বার, বার বার, এমনকী জীবনের আনাচকানাচ অবধি সাপটে উপর্যুপরি ঝাড় খাওয়ার পর, সাফল্যের টিকি দেখতে না পাওয়ার পর, অন্যের টাকার ঊর্ধ্বগামী গ্রাফ দেখার পরও আমাদের আশা শেষ হয় না। খাদে পড়ে যাওয়া হিরো যেমন পলকা তরুলতা কিংবা মারণোদ্যত ভিলেনের পা ধরেই ফের ফিরে আসে জীবনে আশাও ঠিক শেষ হতে হতে, ফুরিয়ে যেতে যেতে, নির্বাসনের আদেশ পেতে পেতেও রোজ উদয় হয়।
|
দ্রৌপদীর শাড়ি |
যা আসলে শাড়ি নয়, ম্যাজিক বা মিরাকল। তখনও ম্যাজিক, এখনও ম্যাজিক। যা শেষ হয়ে গেলে পৃথিবীর বুকে এতগুলো লোক দাপিয়ে বেঁচে থাকতে পারত না। কারণ অপর পক্ষের (মতান্তরে শত্রুপক্ষের বলা যেতে পারে) লোকজন সব হেভিওয়েট। টু নেম আ ফিউ উষ্ণায়ন, ক্যান্সার, আনরুলি ট্রাফিক, ভুল চিকিৎসা, ভূমিকম্প, এমনকী চিন। ইন শর্ট অপাআআআর ভরসা, ঈশ্বর বলে একটা লোকের ওপর।
|
সম্পর্কের জ্বালা |
যেটা স্যাভলন, বরফ, ফুঃ কিছুতেই কোনও দিন যায় না। কুড়ি বছর বয়সের প্রত্যাখ্যানে কিংবা তিরিশের খামখা অপমানে আস্তরণ পড়ে, কিন্তু ঢাকা সরালেই একেবারে তাজা, টকটকে। এক রকম তীব্রতায় জ্বলুনির পুনরাগমণ, গলার কাছে সেই আইডেন্টিকাল দলা। অন্যের কাছে ‘কী সব ছেলেমানুষি করেছি, হাহাহিহিহোহো’ আর রাত্তিরবেলায় নিজের কাছে ‘ওগো বাবা গো’। মনে মনে লাখখানেক বার তৈরি করা মনোলগ, এক লাখ এক বার ঝালানো। এক বার, জাস্ট এক বার যদি কখনও দেখা হয় নাআআআ! এমন দেব! প্রতিটি ডায়লগ পূর্ণবাক্যে। কোথাও অ্যা ই ও ইয়ে’র কোনও ব্যাপার নেই। তার পর ফের অফিসটফিস-সংসার-বেড়াতে যাওয়া এবং বছর দেড় পর হঠাৎই কোনও রাস্তার বাঁকে খামখাই সেই জ্বালার প্রত্যাবর্তন ঝামেলায় পড়া গেল তো! কিন্তু ছাড়বে না তোমায়। এঁটুলির মতো লেগে থাকবে। বয়স বাড়বে তবু টকটকে যৌবন যাবে না এই জ্বালার। আর আমি-তুমি? লট কে লট লালটু-ফেলু। দেবানন্দ মরিয়া প্রমাণ করিলেন তিনি মরেন নাই। |
|
|
|
|
|