টুকরো খবর
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যুবক, উদ্বেগ
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুর শহরের এক যুবক ভর্তি হয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শহরে। শহরে মশার উপদ্রবও বেড়েছে। আবর্জনাও সময়মতো পরিষ্কার হয় না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেদিনীপুর শহরের মানিকপুরের বাসিন্দা কৃষ্ণকান্ত রায় ক’দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। গত বুধবার তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে, বছর তিরিশের ওই যুবক ডেঙ্গু-আক্রান্ত। সেই মতো চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সুপার রামনারায়ণ মাইতি বলেন, “উদ্বেগের কিছু নেই। ওই যুবক এখন চিকিৎসাধীন।” শহরবাসীর অভিযোগ, শহরে আবর্জনা, মশার উপদ্রব বাড়ছে। সময়মতো আবর্জনা সাফাই হচ্ছে না। দীর্ঘ দিন ধরে নালায় নোংরাজল জমে থাকায় মশার উপদ্রবও বাড়ছে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসুর অবশ্য দাবি, “আবর্জনা সময়মতোই সাফাই হয়। তবে শহরের এক বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে শুনেছি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” প্রয়োজনে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় যাবেন বলেও পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

আমরি কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ বাড়াতে আর্জি
ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে স্মারকলিপি দিল রোগীদের আত্মীয়দের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘পিপল ফর বেটার ট্রিটমেন্ট’। আমরির ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার ওই সংগঠনের তরফ থেকে আমরির ঘটনায় মৃতদের পরিবার-পিছু ৫০ লক্ষ টাকা এবং আহতদের মাথাপিছু ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সংগঠনের তরফে কুণাল সাহা জানান, পাঁচ লক্ষ টাকাটা কোনও ক্ষতিপূরণই নয়। ৮ ডিসেম্বর, অগ্নিকাণ্ডের রাতে যে সব চিকিৎসক আমরিতে ডিউটিতে ছিলেন এবং নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে রোগীদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।

শিশুকে চড় মারায় অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার
রাজদীপ গড়াই। নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি এক শিশুকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যালের ঘটনা। দু’বছর আট মাসের ওই শিশুটির নাম রাজদীপ গড়াই। বাড়ি ভাতারের নাসিগ্রামে। শিশুটির বাবা রণজিৎবাবু ও তাঁর আত্মীয়েরা হাসপাতাল সুপারের কাছে এবং বর্ধমান থানায় ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসপাতালের সুপার গদাধর মিত্র বলেন, “তদন্ত করে ওই জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে ওই জুনিয়র ডাক্তারের নাম জানাতে অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মুখে ঘা নিয়ে ওই শিশুটিকে তার বাড়ির লোকেরা আউটডোরে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে তাকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেওয়া হয়। শিশুটির বাবা রণজিৎ গড়াইয়ের অভিযোগ, “আমার ছেলেকে রক্ত দেওয়ার জন্য হাতে চ্যানেল করতে যান এক জুনিয়র ডাক্তার। তখন প্রচুর রক্তপাত হয়। ও ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করে। রেগে গিয়ে ওই ডাক্তার তখন আমার ছেলের ডান গালে খুব জোরে থাপ্পর মারেন। ওর মুখ থেকেও তখন রক্ত পড়তে থাকে।” অভিযোগ, হাসপাতালের সুপার গদাধর মিত্র প্রথমে তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সুপার অবশ্য দাবি করেছেন, বিভাগীয় প্রধানের কাছে ওই ঘটনাটি সম্পর্কে জানাতে বলেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সুপারই অভিযোগটি গ্রহণ করেন।

দুই ডাক্তারকে ‘শো-কজ’ পূর্বস্থলীতে
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুই চিকিৎসককে শো-কজ করলেন মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক (এসিএমওএইচ)। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই দুই চিকিৎসক নিয়মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতেন না। সম্প্রতি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নানা সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এ নিয়ে ঘণ্টা দু’য়েক পথ অবরোধও করেছিলেন তাঁরা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান কালনার এসিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারি, ওই দুই চিকিৎসক নিয়মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান না। ওই দু’জনকে এর কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে।” তবে ওই দুই চিকিৎসকের নাম জানাতে চাননি সুভাষবাবু।

স্বাস্থ্যশিবির
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে শুক্রবার বারিকুল থানার ভুলাগাড়া গ্রামে একটি স্বাস্থ্যশিবির হল। ৪০০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.