|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে... |
|
অবাধ মেলামেশায় রাশ টানুন
সারভিক্স ক্যানসারের এটিও বড় কারণ। ক্যানসার শল্যবিদ
ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায় বললেন সুজাতা মুখোপাধ্যায়কে |
|
|
প্রায় পরিবারেই শুনি কেউ না কেউ সারভিক্স ক্যানসারে ভুগছেন। কী ব্যাপার বলুন তো?
ফ্রি মিক্সিং বাড়লে এ রোগ বাড়বেই।
মানে?
মাল্টিপ্ল পার্টনার থাকলে এ রোগের হাত থেকে বাঁচা মুশকিল।
সবারই কি মাল্টিপল পার্টনার থাকে নাকি!
সবার অবশ্যই থাকে না। তবে ঘটনাটা বাড়ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
তার সঙ্গে ক্যানসারের কী সম্পর্ক?
এ রোগের জীবাণু পুরুষ থেকে নারীর শরীরে আসে। বহু পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে তাই আশঙ্কা বেশি।
জীবাণু! হ্যাঁ, শুনেছিলাম বটে ভাইরাস থেকে এ রোগ হয়। কিন্তু তার তো ভ্যাকসিন বেরিয়ে গেছে।
তা গেছে। তবে তা দেওয়া উচিত কি না তা নিয়ে দ্বিমত আছে এখনও। আর নিলেও নিতে হবে ১৩ -২০ বছর বয়সের মধ্যে।
বাকিরা তবে কী করবেন?
সাবধান হয়ে চলবেন।
সাবধান বলতে বহু পুরুষের সঙ্গ না করা?
না করাই ভাল। অথবা কন্ডোমের সাহায্য নিতে হবে।
তা হলেই মুক্তি?
কম বয়সে মা হলেও বিপদ!
কম বয়স বলতে?
এই ১৮-১৯ এর নীচে।
এই বয়সে আর আজকের দিনে কে মা হয়!
গ্রামের দিকে যথেষ্ট হয়। তা ছাড়া কম বয়সে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা খুব বিপজ্জনক।
তার জন্যও তো রয়েছে কন্ডোম।
তা আছে। তবে ফাস্ট লাইফের কিন্তু অনেক বিপদ।
কী রকম?
ফাস্ট ফুড, অ্যালকোহল খেয়ে খেয়ে ওজন খুব বাড়িয়ে ফেললে শুধু সারভিক্স নয় জরায়ু এবং ওভারি ক্যানসারের চান্সও অনেক বেড়ে যায়। সঙ্গে সিগারেট যোগ হলে তো আর কথাই নেই। আবার একই সঙ্গে প্রেশার সুগার বেড়ে গেলে তো হয়েই গেল।
প্রেশার সুগার থেকেও ক্যানসার হয়?
সব কারণগুলি মিলেমিশে গেলে হয় বইকী।
তো কী করণীয়?
নিয়মিত প্যাপস্মিয়ার টেস্ট করে দেখে নিন সারভিক্স অক্ষত আছে কি না।
সে তো করতে হবে ৪০-৪৫ বছর বয়সের পর।
না, যৌনজীবন শুরু হওয়ার পরই প্রতি বছর নিয়ম করে করুন। বিশেষ করে জীবন যদি লাগামছাড়া হয়।
করে কী হবে? এ যা রোগ! আগে ধরা পড়লেও যা, পরে ধরা পড়লেও তাই।
আর আক্রান্ত হওয়ার আগেও তো ধরা পড়তে পারে রোগ হওয়ার আগে ধরা পড়ার মানে কী? মানে প্রি-ক্যানসার স্টেজে। এই স্টেজে ধরা পড়লে ১০০ শতাংশ চান্স সেরে যাওয়ার।
মানে নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে ক্যানসার হতে চলেছে কি না?
ঠিক তাই। হওয়ার আগে ধরে ফেলতে পারলে বিপদ কেটে গেল।
কষ্ট না থাকলে কে আর পরীক্ষা করতে যায় বলুন? জরায়ু মুখ থেকে রস চেঁছে তোলা কষ্টকরও তো বটে?
কাঠের চামচ দিয়ে চেঁছে নেওয়া। এতেও অনীহা বলেই সারভাইক্যাল ক্যানসার হু-হু করে বাড়ছে।
কোনও উপসর্গ নেই, যা দেখে বোঝা যাবে রোগ হতে চলেছে, তখনই না হয় টেস্ট করা যাবে।
তাও আছে। সহবাসের পর ব্লিডিং হলে সতর্ক হবেন। দুর্গন্ধযুক্ত স্রাবও চিন্তার কারণ।
পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ব্লিডিং হলেও তো চিন্তার কথা।
হ্যা। মোটা, বেঁটে পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলার যদি প্রেশার-সুগার থাকে, জরায়ু ক্যানসার আছে কি না দেখতে হবে।
হওয়া মানে ক্যানসার হয়ে গেছে?
তা নয়। তবে পরীক্ষা করে দেখা দরকার, হল কি না। হলে চিকিৎসা করাবেন। মিটে গেল।
কী যে বলেন!
আরে ভয়ের কী আছে? প্রথম দিকে ধরা গেলে ফলাফল বেশ ভাল।
ভাল আর কী? সব কেটে ফেলে দেবেন। এমনি জীবনের সঙ্গে সঙ্গে যৌনজীবনও বরবাদ।
জরায়ু ক্যানসারে বাদ দিতে হয়। সারভিক্স ক্যানসার যদি প্রি-ক্যানসার স্টেজে ধরা পড়ে, বয়স কম হলে সারভিক্সটুকুই শুধু কাটা হয়। তাতে কোনও জীবনই বরবাদ হয় না।
আর বয়স বেশি হলে?
৪০-৪৫ বছর বয়সের পর হলে জরায়ু, ওভারিও বাদ দেওয়া হয়।
শরীরে হরমোন কমে গেলে ক্ষতি হয় না?
হরমোন রিপ্লেস করে দিলেই মিটে যাবে। ধরুন ৫০ বছরে জরায়ু থেকে ওভারি সব বাদ হয়ে গেল, তার মানে তো বিবাহিত জীবনের আর কোনও মানে রইল না। সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। চিকিৎসা সম্পূর্ণ হওয়ার পর সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। বাধা শরীরের দিক থেকে নয়, বাধা থাকে মনে।
সে তো স্বাভাবিক। ভয়ের ব্যাপারও তো থাকে।
কোনও ভয় নেই। ক্যানসার ছোঁয়াচে নয়। সহবাসে রোগ বাড়েও না। নিশ্চিন্তে থাকুন।
|
যোগাযোগ: ৯৮৩১৩৬৯৪২২ এবং ২৪৬৫ ৪৫৭৬ |
|
|
|
|
|