কলকাতার প্রায় ৫০ হাজার পথশিশুকে জন্মনথি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘অস্বচ্ছতা’ খুঁজে পেয়েছে কলকাতা পুরসভা। ২০০৭ সালে গত বাম পুর-বোর্ডের আমলে রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং তারিখ ছাড়াই ওই সার্টিফিকেটগুলি বিলি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১০ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল পুরবোর্ড বিষয়টির বিভাগীয় তদন্ত করে। তারই রিপোর্টে এই ‘অস্বচ্ছতা’গুলির উল্লেখ রয়েছে। আজ, শনিবার মেয়র পারিষদের বৈঠকে বিষয়টি ওঠার কথা। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
২০১০-এ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার অধিবেশনেই ঠিক হয়, ‘অবৈধ’ সার্টিফিকেটের বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত হবে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমএইচও) শের মহম্মদের নেতৃত্বে পাঁচ জনের কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পথশিশুদের দেওয়া ওই বার্থ সার্টিফিকেটগুলি অবৈধ। তৎকালীন সিএমএইচও দেবদ্বৈপায়ন চট্টোপাধ্যায় সরকারি কোনও সিল ছাড়াই সার্টিফিকেটে সই করেছিলেন। তা ছাড়া, জন্মের এক বছর পার হওয়ার পরে বার্থ সার্টিফিকেট পেতে হলে এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে তা-ও মানা হয়নি। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। পুরসভার হলোগ্রাম দেওয়া ফাঁকা সার্টিফিকেট সরবরাহ করার বরাতও দেওয়া হয়েছিল তাদেরই। কমিটির মতে, এমনটা শুধু বেআইনি নয়, পুরসভার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিপজ্জনক। সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন পুর-কমিশনারের ভূমিকাও কমিটির কাছে পরিষ্কার হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি কী ভাবে ওই বার্থ সার্টিফিকেট সরবরাহের অর্ডার দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরোপুরি বেআইনি ভাবে ৫০ হাজার বার্থ রিপোর্টের আবেদনপত্র ও পুরসভার হলোগ্রাম-সহ ৫০ হাজার ফাঁকা বার্থ সার্টিফিকেট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে দিয়েছিলেন তৎকালীন সিএমএইচও। রিপোর্ট জমা পড়ার পরে বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চাপ দেন। প্রাক্তন বিচারপতি অসিতকুমার বিশীকে বিচারবিভাগীয় তদন্তের ভার দেওয়ার সম্ভাবনা।
|
সংখ্যালঘু স্কুল মঞ্জুর নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেই সম্প্রদায়ের অন্তত ৫০ শতাংশ পড়ুয়া না-থাকলে তাকে ‘সংখ্যালঘু’ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা না-দেওয়ার প্রস্তাবের অনুমোদন শুক্রবার স্থগিত রাখল রাজ্য মন্ত্রিসভা। কলকাতা পুর এলাকায় মিড-ডে মিল প্রকল্পের দায়িত্ব একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়ার জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রস্তাব সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ স্থগিত রেখেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। রাজ্যের সর্বত্র মিশনারি, শিখ প্রভৃতি সম্প্রদায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সেই সব সম্প্রদায়ের ৫০% পড়ুয়া মিলবে কি না, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রশ্ন ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহকে। সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার অধিকার আইনের সব সংস্থান প্রয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, উঠেছে সেই প্রশ্নও। |