ধর্ষণ, ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার ১০ |
রায়নার একটি চালকলে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ১০ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রায়না ও বর্ধমান থানার এই যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি। আটক করা হয়েছে একটি গাড়িও। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ওই দলটিকে বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এদের বেশির ভাগই হুগলির পান্ডুয়া ও খন্যানের বাসিন্দা। বর্তমানে অবশ্য তাদের ডেরা বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে। বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করে বেড়ানোর অভিযোগ রয়েছে এই দলটির বিরুদ্ধে। গত ২০ ডিসেম্বর রাতে রায়নার শ্যামাদাসবাটী নান্দিয়াল গ্রামের একটি চালকলে হানা দিয়ে সশস্ত্র ডাকাতেরা কর্মীদের মারধর করে। ওই চালকলের এক মহিলা কর্মীকে এক দুষ্কৃতী ধর্ষণও করে। মোট ৪৫ হাজার টাকা ও একটি টিভি নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে জেলা পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতির পরে ওই দলটি বীরভূমের তারাপীঠে গিয়েছঠিল। সেখানেও ডাকাতি করেছে তারা। তার পরে লুঠের মালপত্র নিয়ে গাড়িতে চেপে তারা চলে যায় বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেখানেই হানা দিয়ে দুই থানার পুলিশ ৯ ডাকাত ও টাটাসুমোর চালক শেখ সাগরকে গ্রেফতার করে।
|
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চলন্ত বাস থেকে মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে গেল এক দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে। গৌরব অগ্রবাল নামে ওই ব্যবসায়ী এ দিন দুপুরে কলকাতা যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে একটি মোবাইল ছিল। কন্ডাক্টরের পাশের সিটে বসে থাকা এক যুবক আচমকা তাঁর কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে বাস থেকে নেমে যায়। বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে গৌরববাবু জানান, তিনি বারবার বললেও চালক বাস থামাতে অস্বীকার করেন। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ট্রাফিক পুলিশও। বর্ধমান থানা সূত্রে বলা হয়, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনা ২ ব্লকের রাহাতপুর গ্রামে নিজের বাড়িতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম উত্তম ঢক (৪০)। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এ দিন দুপুরে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে উত্তমবাবু তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। পরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। |