শার্লক হোমসে
মৃণালকান্তি দাশ
ধরলাম মনে মনে ‘এ’ এক বিন্দু
জ্যামিতি করছ নাকি? ওটা শরদিন্দু।
বিন্দু সবার আগে, তার পর চিত্র
ফেলুদা ও তোপসেরা দু’জনেই মিত্র।
বিন্দু কিছুই নয়, ছোট এক ফুটকি
ঘনাদা জানেন ঠিক মিশরের রুট কী।
একটা সরলরেখা, নয় অধিকন্তু
সে পথে যাবেন না তো কাকাবাবু-সন্তু।
কোণ হবে ঠিক নব্বই ডিগ্রি
টেনিদার প্যাঁচে পড়ে ধরাশায়ী শিগ্গির।
জ্যামিতিটা জলভাত, সোম থেকে সোম সে
সমাধান খোঁজ গিয়ে শার্লক হোমসে। |
পাঁচামি
সুনির্মল চক্রবর্তী
পাখির ছেলেমেয়ে
পথের দিকে চেয়ে
সন্ধ্যা নামে, নামে
পাখি ফিরছে গ্রামে
শালিক চড়ুই কাক
সকলে নির্বাক
এখন ঘরে ফেরা
ঘরে নতুনেরা
সারাটা দিন ঘরে
কাঁপছিল যে জ্বরে
এখন আদর পাবে
কত খাবার খাবে
সন্ধ্যা নামে, নামে
নিঝুম হল গ্রাম,
পাথর ভাঙা কলের
শব্দ অবিরাম। |
দিলখোলা
চৈতন্য দাশ
আগুন বলল, ‘সব পোড়াব’
জল বলল, ‘ভাল...
আমায় নিয়ে ঢালো।’
কাঠ বলল, ‘পুড়ব না আর’
আগুন বলল, ‘তাই...
চলো দেখি যাই।’
ফুল বলল, ‘ফল ধরেছি’
ভ্রমর বলল, ‘উড়ে...
চলো না যাই দূরে।’
হাওয়া বলল, ‘ঝড় তুলেছি’
বালি বলল, ‘ওরে...
বাঁচব কেমন করে!’ |
ঘোস্ট পার্ক
প্রোজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়
ভূত নিয়ে খেলা করে
ভূতনাথ পোল্লে,
খাঁচা নিয়ে ছোটে কেউ
অপঘাতে মরলে।
ভূতে পাওয়া ভূতনাথ
ভূত নিয়ে মত্ত।
কোনও ভূত মাছ খায়
কেউ আমসত্ত্ব।
পার্কিং করে রেখে
কিছু দূরে কার-কে
অনায়াসে যাওয়া যায়
হেঁটে ঘোস্ট পার্কে |
এখন আমার পাঁচ
কৃষ্ণা চৌধুরী
এখন আমার পাঁচ
দুষ্টুমিটা আমার কিছু
করতে পারো আঁচ?
দাদু যখন কাগজ পড়ে
পিছন থেকে চুপটি করে
এক ঘুষিতেই ভেঙে ফেলি
চশমাখানার কাচ।
লক্ষ্মী দিদি বিভোর হয়ে
ঘুঁটে সাজায় শয়ে শয়ে
দু’নাকে তার নস্যি গুঁজে
বলি, এ বার হাঁচ।
এখন আমার পাঁচ
দেখবে নাকি তোমরা আমার
নতুন ধারা নাচ?
ঠাম্মা লেখে গল্প ছড়া
আমার চাই আগে পড়া
কুড়মুড়িয়ে চিবোই খাতা
এমনি আমার পাঁচ। |
আতরের কারখানা
পুলকেশ শিকদার
প্রাণ খুলে মিশে গেল
ভূতেদের সঙ্গে,
কিছুটা সময় যাবে
কেটে রসে-রঙ্গে।
হুগলির ব্যবসায়ী
তিনকড়ি সর্দার
আতরের ছোটখাটো
কারখানা ছিল তার।
ফোকটিয়া রোজ রোজ
লোকে শোঁকে গন্ধ,
এই দুখে করে দিল
কারখানা বন্ধ।
|
অলঙ্করণ: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য |