|
|
|
|
রিকশা অভিযান নিয়ে বিতর্কে রঞ্জন-গঙ্গোত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সবুজ পোশাক না-পরে রিকশা চালকেরা রাস্তায় বার হওয়া রুখতে অভিযানে নেমে বিতর্কের মুখে পড়লেন শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। এদিন তাঁর নির্দেশে পুরকর্মীরা অভিযানে নেমে ৪৪টি রিকশার নম্বর প্লেট বাজেয়াপ্ত করেন। কিন্তু এমন অভিযানের কথা তাঁকে জানানোই হয়নি বলে দাবি করেছেন পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “এ ধরনের অভিযান চালানো হবে তা আমাকে জানানোই হয়নি। কেন এমন হল তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
রিকশা মালিকদের লাইসেন্স দেয় পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ। এদিন আটক করা নম্বর প্লেট চাইতে রিকশা মালিকেরা ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহার দফতরে হাজির হন। রিকশা মালিকদের কাছ থেকেই অভিযানের কথা তিনি জানতে পারেন বলে দাবি করেছেন দেবশঙ্করবাবু। তিনি বলেন, “অভিযান চালিয়ে রিকশার নম্বর প্লেট খুলে রাখা হচ্ছে বা বাতিল করা হচ্ছে বলে আগাম কিছু জানতাম না। রিকশার মালিকদের কাছে ঘটনাটি জানতে পেরে অস্বস্তিতে পড়ি। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে আগাম জানাতে রঞ্জনবাবুকে অনুরোধ করেছি।” এই পরিস্থিতিতে পুরসভায় মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদদের মধ্যে সমণ্বয়ের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, “সমণ্বয় না-থাকার প্রশ্ন কেন উঠছে? আমরা সকলে একমত বলেই তো রিকশা চালকদের জন্য পোশাক ব্যবহারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যাঁরা ব্যবহার করছেন না বুধবার অভিযান চালিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তার পরেও অনেকে পোশাক পরছেন না। এ দিন তাই অভিযান চালিয়ে চালকেরা পোশাক না পড়ার জন্য ৬২ টি রিকশাকে ধরা হয়। তাদের কিছু নম্বর প্লেট খুলে রাখা হয়েছিল। পরে দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শিলিগুড়ি শহরে যাতে পুরসভার অনুমতি দেওয়া রিকশাই চলাচল করতে পারে সেই জন্য সম্প্রতি রিকশা চালকদের ওই সবুজ পোশাক দেওয়া হয়। পুরসভার অভিযোগ, বেশির ভাগ রিকশা চালক ওই সবুজ পোশাক পরছেন না। তার ফলে শহরের বাইরের কটি রিকশা হিলকার্ট রোডে ঢুকে পড়ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। এই ব্যাপারে রিকশা চালকদের সতর্ক করার পরে এদিন অভিযানে নামা হয়। কিন্তু যে সমস্ত রিকশা চালকের নম্বর প্লেট খোলা হয় তাঁদের কাউকে সিজার লিস্ট কেন দেওয়া হয় সেই প্রশ্ন তুলেছেন মালিকেরা।
বৃহত্তর শিলিগুড়ি সাইকেল রিকশা ওনার্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রমন দে ধারা বলেন, “চালকেরা পোশাক না পরায় এ দিন বেশ কিছু রিকশার নম্বর প্লেট খুলে নেওয়া হয়েছে জেনে পুরসভায় গিয়েছিলাম। সিজার লিস্ট ছাড়া অবৈধ ভাবে ওই কাজ করা হচ্ছিল। তা ছাড়া মালিকেরা পোশাক দিয়েছেন, চালকেরা তা না পরলে নম্বর প্লেট কেন খোলা হবে? আমাদের সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষ আলোচনা করতে পারতেন। তা ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে গিয়ে জানতে পারি তাঁরা কিছুই জানেন না। পুরসভায় কোনও সমণ্বয় আছে বলে মনে হচ্ছে না।” |
|
|
|
|
|