|
|
|
|
উন্নয়নে মাঠেঘাটে বিডিও |
নিলয় দাস • ফালাকাটা |
প্রত্যন্ত এলাকার পঞ্চায়েতর কাজ পরিদর্শনের পাশাপাশি গ্রামবাসীর সমস্যা ও প্রয়োজনের কথা শুনতে দফতরের অফিসারদের নিয়ে সাইকেলে চেপে গ্রাম ঘুরছেন ফালাকাটার বিডিও সুশান্ত মণ্ডল। ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এক মাসে তিন টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত এলাকা পরিদর্শন সেরে ফেলেছেন বিডিও সুশান্ত বাবুর এই উদ্যোগে ফালাকাটা ব্লক জুড়ে ব্যাপক সারা পড়েছে। জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “জেলার সমস্ত বিডিও-রা নীরবে ভাল কাজ করে চলেছেন। তবে ফালাকাটার বিডিও যে ভাবে সাইকেলে চেপে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে কাজকর্মের দেখাশোনা করছেন তা অবশ্যই ভাল। তার এই উদ্যোগ সত্যিই দারুণ। বিধায়ক অনিল অধিকারী বলেন, বিডিও-র এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় দফতরে বসে না থেকে যে ভাবে সাইকেলে চেপে গ্রামে ঘুরে লোকজনের খোঁজ নিচ্ছেন তাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায় না। বছর আগে ফালাকাটা বিডিও হিসাবে দায়িত্ব পান সুশান্ত বাবু ব্লক প্রশাসনের নানান কাজ কর্ম দেখভালের জন্য এত দিন সরকারি গাড়িতে চেপে পরিদর্শনে বের হতেন তিনি। ফালাকাটা ব্লকের যে সমস্ত প্রত্যন্ত জায়গাতে গাড়ি যাতায়াত করতে পারে না সেখানে পায়ে হেঁটে এত দিন পৌঁছতেন। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
হাঁটার বদলে সাইকেলে চেপে প্রত্যন্ত গ্রাম ঘুরলে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে বলে তিনি ঠিক করেন সাইকেলে চেপে গ্রাম ঘুরবেন। মাস আগে ১০০ দিনের কাজের ব্লক প্রকল্প আধিকারিক অভিষেক বসাক ও ব্লকের অপর এক অফিসার ভাস্কর রায় সহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মাঝে মধ্যে ভোর হতে গ্রামে বেরিয়ে পড়ছেন। দিনে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে জটেশ্বর ১, দেওগাঁ, ফালাকাটা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু গ্রাম ঘুরে ফেলেছেন। গ্রামে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের জন কোন কোন সরকারি প্রকল্প প্রয়োজন, কোথায় বিদ্যুতের দাবি রয়েছে সেচ নালা, রাস্তা বা ইন্দিরা আবাস কাদের খুব জরুরি তা টুকে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি গ্রামের ভূমিহীন কৃষকদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড ও বিমা প্রকল্পের কথা জানিয়ে আসছেন তিনি। ঘুরতে ঘুরতে খিদে পেলে বাসিন্দাদের সঙ্গে ভাগ করে লাল চা, মুড়ি, রুটি খেয়ে খিদে মেটাচ্ছেন ব্লক কর্তা ও অফিসারেরা। বিডিও সুশান্ত মণ্ডলের কথায়, “প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছতে সাইকেল উপযুক্ত যান। মানুষ আমাদের দেখে মন খুলে সমস্যার কথা বলছেন। ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে আরও কী কাজ করা যায় তা তারা খুলে বলছেন। সপ্তাহে এক-দুই দিন এভাবে ঘুরছি। একটি গ্রাম ঘুরতে সারাদিন লেগে যাচ্ছে। মোবাইল ফোন থাকায় অফিসের কাজ কর্ম আটকে থাকছে না।” গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ রায় বলেন, বিডিও নিজে গ্রামে ঘুরলে আমরা উৎসাহিত হই। তিনি সমস্যা গুলি দেখে যান। নতুন করে সে সম্পর্কে বোঝাতে হয় না। গ্রামবাসী তার এই উদ্যোগে খুশি। |
|
|
|
|
|