|
|
|
|
জট, জেরবার জলপাইগুড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে যানজটে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ৩১ ডি জাতীয় সড়ক। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কের ওপরে তিস্তা সেতুতে অপরিকল্পিত ভাবে মেরামতির কাজ চালানোর জেরে যানজট হচ্ছে। ফলে মাত্র এক কিলোমিটারের কম দীর্ঘ তিস্তা সেতু পার হতে কমপক্ষে ২ ঘন্টা সময় লাগছে। বাসিন্দারা জানান, বুধবার সকাল থেকে সেতুতে মেরামতির কাজ শুরু হয়। রাতভর যানজট লেগে থাকে সেতুতে। বৃহস্পতিবার সেই জট বেড়ে একদিকে জলপাইগুড়ি শহর ছাড়িয়ে রানীনগর পৌঁছে যায়। অন্যদিকে ময়নাগুড়ি রোড পার হয়ে টেকাটুলি এলাকা পর্যন্ত্য প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সড়কে যানজট ছাড়াতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র এবং পুলিশ সুপার সুগত সেন যানজটের সমস্যা কাটাতে কয়েক দফায় আলোচনা করেন। জেলা পুলিশের তিন জন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে তিস্তা সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণে পাঠানো হয়। জাতীয় সড়ক জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। |
|
তিস্তা সেতুতে যানজট। জলপাইগুড়িতে ছবিটি তুলেছেন সন্দীপ পাল। |
প্রশাসনের উদ্যোগের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে যানজটের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয়। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “তিস্তা সেতুর মতো গুরুত্বপূর্ণ, ব্যস্ত সেতুতে মেরামতির কাজ শুরু করার আগে যান চলাচল নিয়ন্ত্রনের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। তা মানা হয়নি। যানজট তীব্র আকার নেওয়ায় জাতীয় সড়কে সব যানবাহন থমকে যায়। যাই হোক পুলিশ অফিসারদের জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেতুর একপাশে লম্বালম্বি ভাবে মেরামতির কাজ শুরু করে করে অন্য পাশটি যানচলাচল করার ব্যবস্থা রাখার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। বুধবার কাজ শুরুর পরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সেতুর দু দিকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়। হাতে গোনা কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে সেতুর মাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে কাজ শুরু হয়। যানজট এড়াতে সেতুর কোনও অংশ পরিকল্পনা মতো আটকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণে সেতুর দু পাশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি ছাড়া হলেও সেতুতে উঠে একে অন্যকে টপকে যাওয়ার প্রবণতায় বাস, ট্রাক, ছোটগাড়ি সব মিলিয়ে তালগোল পাকিয়ে যায়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের করফে জানানো হয় পদ্ধতিগত কারণেই কাজ বন্ধ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তিস্তা সেতুতে কাজ চলতে থাকায় কিছুটা যানজট হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কিছু সময় কাজ বন্ধ থাকলেও দুপুরে কাজ চালু হয়। সেতুর এক পাশ আটকে মেরামতির কাজ হবে। অন্য পাশ যানবাহন চলাচলের জন্য খোলা রাখা হবে।” |
|
|
|
|
|