|
|
|
|
মদন হত্যায় অভিযুক্ত খুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এক যুব নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। বুধবার রাতে দার্জিলিং সদর থানার সিংলা চা বাগান এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম দিলকুমার রাই (৩৬)। তাঁর বাড়ি ওই চা বাগান এলাকায়। গোর্খা লিগ নেতা মদন তামাঙের খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে। মদন নিহত হওয়ার পরে দিলকুমার ফেরার হয়ে যান। সম্প্রতি এলাকায় তাঁকে আবার দেখা যায়। তিনি পার্বত্য পরিষদ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদারি করতেন। রাতে বাগানের শ্রমিক বস্তি এলাকার পাশেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় এবং মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ভাই দিলচন্দা রাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকাটি দার্জিলিং শহর থেকে ১৫ কিমি দূরে। |
|
দিলকুমার রাই |
দিলকুমারবাবুর বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, প্রতিবেশী ভিমকেশ সুব্বা, তাঁর দুই ছেলে এবং আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা মিলে ওই খুন করেছেন। অভিযুক্তেরা ফেরার। তবে ভিমকেশের দু’টি বাড়ি উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়। বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দার্জিলিঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মদন তামাঙের খুনের ঘটনার মামলার চার্জশিটে নিহতের নাম রয়েছে।”
মোর্চা সূত্রের খবর, নিহত দিলকুমার যুব মোর্চার সিংলা চা বাগান ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মোর্চা সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মোর্চার নানা আন্দোলন, অনুষ্ঠানে তাঁকে সামনের সারিতেই দেখা যেত। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, মোর্চার শীর্ষ নেতাদের সুনজরে থাকার সুবাদে এলাকায় পার্বত্য পরিষদ এবং পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ তিনিই করতেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যেও ক্ষোভও ছিল। খুনের ঘটনার পিছনে ঠিকাদারি ব্যবসার কোনও গোলমাল জড়িত কি না, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ দিন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিনয় তামাং এলাকায় যান। তাঁদের দাবি, “অভিযুক্তেরা সকলেই মোর্চার। সম্প্রতি তারা দু’টি বাংলো ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়। মাদকের ব্যবসার জড়িয়ে পড়েন বলে মোর্চার শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ। দিলকুমার মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে।”
নিহতের পরিবারের দায়িত্বভার নেওয়া হবে বলে গুরুঙ্গ ঘোষণা করেছেন। অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে না-দিলে পরিবারের লোকজনদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে গুরুঙ্গ ফতোয়া দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানান। |
|
|
|
|
|