টুকরো খবর
নৈহাটিতে গুলিতে খুন লন্ড্রি মালিক
সাত সকালে বাড়ির সামনেই এক লন্ড্রি মালিককে গুলি করে খুন করে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির ৮ বিজয় নগরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম সুমিত মজুমদার (৩৮)। এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ি-লাগোয়া লন্ড্রির সামনের ফাঁকা জায়গা পরিষ্কার করার কাজ করছিলেন সুমিতবাবু। সে সময়ে মোটর বাইকে চেপে আসে দুই দুষ্কৃতী। বড় রাস্তার কাছে বাইকটি রেখে হেঁটেই সুমিতবাবুর দোকানের সামনে হাজির হয়। সুমিতবাবু পিছন ফিরতেই আচমকা রিভলবারের বাঁট দিয়ে তাঁর মাথায় বাড়ি মারে। মাটিতে পড়ে যেতেই খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে ফের হেঁটেই রাস্তার মোড় পর্যন্ত যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন এগিয়ে এলেও উদ্যত আগ্নেয়াস্ত্র দেখে ধারেকাছে ঘেঁষার সাহস করেননি কেউ। সাত সকালে শহরতলির রাস্তায় এই ভাবে খুনের ঘটনায় সকলেই হতচকিত। স্থানীয় বাসিন্দারা সুমিতবাবুকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সুমিতবাবু নেহাই নিরীহ মানুষ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। পরিবারের ঘনিষ্ঠদের কেউ ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে সুমিতবাবুকে খুন করিয়েছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই খুনের পিছনে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। নিহতের পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘সুমিত খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ। কোনও বিবাদের মধ্যে থাকতই না। কেন ওকে খুন করা হল, সেটাই আশ্চর্যের। নৈহাটিতে এই ভাবে খুনের ঘটনা সাম্প্রতিক কালে ঘটেনি।’’

কৃষক সভার পথ অবরোধ বসিরহাটে
মদ খেয়ে মরলে টাকা মিলছে অথচ সব্জির দাম না পেয়ে কৃষক মারা গেলে কোনও সাহায্য নেই। সারের দাম অগ্নিমূল্য অথচ সব্জির ন্যায্য দাম মিলছে না এমনই একাধিক অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বসিরহাটের বেঁকি বাজারে টাকি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কৃষকেরা। রাস্তার মধ্যে ধানের বস্তা, পাট, কপি, আলু, বেগুন এবং মুলো-ভর্তি ঝুড়ি রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে ফসল কিনতে হবে। সারের মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে হবে। বিক্ষোভের জেরে টাকি রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ বসিরহাট ২ ব্লকের কৃষকসভার শতাধিক কর্মী, সমর্থক পতাকা, ব্যানার হাতে নিয়ে বেঁকি বাজার সংলগ্ন টাকি রাস্তার উপর বসে পড়ে অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সারের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি এবং কালোবাজারিদের জন্য চাষিদের পক্ষে চাষ করা রীতিমত কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলু, ধান, পাট, শাক, সব্জি-সহ বিভিন্ন ফসলের উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না গরিব কৃষকরা। ফলে গ্রামীন অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। ঋণগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক দুরবস্থা চরমে পৌঁছেছে। অবিলম্বে সারের মূল্য রোধ সহ ন্যায্য দামে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান, পাট সহ অন্যান্য জিনিসপত্র না কেনার ব্যবস্থা করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হতে হবে।

কুপিয়ে খুন কুলতলিতে
বাজার থেকে মোটরবাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কুলতলির মেরিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায়। নিহতের নাম স্বপন মণ্ডল (৪৫)। বাড়ি পাকুরতলা এলাকায়। ওই রাতেই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষাবাদ করতেন স্বপনবাবু। তাঁর গলায় ও পিঠে গভীর ক্ষত রয়েছে। গলার নলি কেটে যাওয়ায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই খুনের ঘটনায় তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই। তবে, খুনের কারণ নিয়ে অন্ধকারে নিহতের পরিবারের লোকজন।

অস্ত্র-সহ ধৃত ৫
বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরার অভিযোগে গ্রেফতার হল ‘তৃণমূলের যুব ও ছাত্র নেতা’ মণীশ শুক্ল-সহ পাঁচ দুষ্কৃতী। বুধবার রাতে টিটাগড় থানার পুলিশ ব্যারাকপুরের লালকুঠি থেকে মণীশ, অংশুমান ভট্টাচার্য, জাভেদ খান, মুন্না চৌধুরী ওরফে হাতকাটা মুন্না এবং বিনোদ মল্লিক ওরফে কানা বিনোদকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরে। খড়দহে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় তারা অভিযুক্ত ছিল বলে পুলিশ জানায়। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘ধৃতেরা আমাদের দলের নয়।” পুলিশ জানায়, ওই যুবকেরা গাড়ি করে যাচ্ছিল। লালকুঠির কাছে এসডিপিও অমিতকুমার সিংহ গাড়িটি দাঁড় করান। ধৃতদের থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিনও আটক হয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে এসিজেএম ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় মণীশ ও অনুপমকে ৩ দিনের জেল হাজত ও বাকিদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। গাড়িটিও আটক করেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.