|
|
|
|
অসহযোগিতা করছে পুরসভা, তোপ পুরমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উন্নয়নমূলক কাজে কেএমডিএ-র সঙ্গে সহযোগিতা করছে না হাওড়া পুরসভা। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় গঙ্গাতীর সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এমনই অভিযোগ করলেন খোদ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এ দিন হাওড়া শহরে গঙ্গার তীর সৌন্দর্যায়নের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময়েই ফিরহাদ তোপ দাগেন হাওড়া পুরসভার দিকে। তিনি বলেন, “কেএমডিএ-কে সাহায্য করছে না হাওড়া পুরসভা। নিকাশির উন্নয়ন প্রকল্পে একটা পাম্পিং স্টেশন গড়ার জন্য পুরসভার কাছে জমি চেয়েছিল কেএমডিএ। তার পরে এক বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সেই জমি পাওয়া যায়নি।” যদিও এ দিনের অনুষ্ঠানে হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সোয়াল উপস্থিত ছিলেন না।
পরে মমতাদেবীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কেএমডিএ-র তরফে আমাকে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সকালে কাগজ দেখে বিষয়টি জানতে পারি।” পাশাপাশি, কেএমডিএ-র সঙ্গে পুরসভার অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে মমতা জয়সোয়াল বলেন, “ওঁরাই বলতে পারবেন কোথায় ওঁদের সাহায্য করা হয়নি। আমরা কখনওই ওঁদের সঙ্গে কোনও রকম অসহযোগিতা করিনি। আর জমির বিষয়টি তো জেলাশাসক নিজে দেখছেন। তাই ওই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।”
কলকারখানা, মঙ্গলাহাট, যানজটের শহর হাওড়ায় উন্নয়ন কী ভাবে হবে, সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। কিন্তু, সেই শহরের উন্নয়নে যে সব পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের রয়েছে, তার সব ক’টি বাস্তবায়িত হলে হাওড়া কলকাতার থেকেও বেশি সুন্দর হবে বলে এ দিন দাবি করেন পুরমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, হাওড়া শহরে বর্ষায় জল জমলেই ছুটে আসতে হয় মন্ত্রীদের।শহরটা অপরিষ্কার, রাস্তায় আবর্জনা ভর্তি। নিকাশি ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শহরের চার দিক বহুতলে ঠাসা। এর মধ্যে ক’টি বহুতলের অনুমোদন রয়েছে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “হাওড়ার মানুষের সমস্যা মেটাতে আধিকারিকদের বলা হয়েছে হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা ও কেএমডিএ-কে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরি করতে।” |
|
|
|
|
|