|
|
|
|
কংগ্রেস নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পূর্ব মেদিনীপুর কংগ্রেসের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠল শরিক দল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মহিষাদলের নাটশাল-২ অঞ্চলের রামবাগের। অভিযোগ, বুধবার রাতে কংগ্রেস নেতা অমল মাজিকে তৃণমূল ব্লক অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পঞ্চায়েত প্রধান আহমেদ আলির অবশ্য বক্তব্য, “আমাদের ব্লক পার্টি অফিসে এই ঘটনা ঘটলেও আমি এর সঙ্গে যুক্ত নই। পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দু’য়েক আগে এলাকার রাস্তা সংস্কার-সহ ১৯ দফা দাবি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিককে একটি স্মারকলিপি দেন অমলবাবু। বুধবার ফের গ্রামের কিছু লোক উন্নয়নের দাবিতে প্রধান আহমেদ আলিকে রাত আটটা পর্যন্ত তালাবন্দি করে রাখেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলি, নজরুল ইসলামদের অভিযোগ, “এলাকায় বহু দিন ধরে জল, বিদ্যুৎ, রাস্তা-সহ সমস্ত রকমের কাজকর্ম বন্ধ। সেই কারণেই আমরা ঘেরাও-বিক্ষোভ দেখাই।” এ দিকে, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জনা চারেক তৃণমূলকর্মী সিনেমাহল মোড় থেকে অমলবাবুকে তুলে গেঁওখালি রোডে দলের ব্লক কার্যালয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। অমলবাবু বলেন, “বিডিও-কে আমি স্মারকলিপি দিয়েছিলাম বলে প্রধানের ধারণা হয়েছে আমিই গ্রামবাসীদের প্রভাবিত করছি। তাই ওঁর আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।” লিখিত ভাবে থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করে মহিষাদল ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মাখনচন্দ্র ঘোড়ই বলেন, “ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখতে চাইছেন প্রধান। কিন্তু এ ভাবে অকারণে আক্রমণ মেনে নেব না।” তৃণমূল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মাইতিও বলেন, “এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমি দুঃখিত। আমরা দুই শরিক নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নেব। যাতে এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য কর্মীদের সচেতন করব।” আর তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “আমার মনে হয় এটা ব্যক্তিগত আক্রোশের জের। এর সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। ব্লক পার্টি অফিসে এ রকম ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তদের নিশ্চয়ই শাস্তি হবে।” |
|
|
|
|
|