|
|
|
|
ঝাড়গ্রাম এসডিও অফিসে পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নানা কাজে সাধারণ মানুষ আসেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দফতর হওয়া সত্ত্বেও ঝাড়গ্রামের এসডিও অফিসে পানের জলটুকু মেলে না। গরমের দিনে নানা কাজে আসা মানুষের তেষ্টায় হয় প্রাণান্ত। সমস্যা মেটাতে এসডিও অফিস ও সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জল-প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। প্রকল্পের জন্য একটি গভীর নলকূপও তৈরি হবে। শুধু ওই অফিস বা সংলগ্ন এলাকাই নয়, এসডিও বা মহকুমাশাসকের আবাসনেও পানীয় জলের পৃথক প্রকল্প হবে। সব মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। প্রকল্পের কাজ করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। আগামী তিন মাসের মধ্যেই প্রস্তাবিত জল-প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মেদিনীপুর মেকানিক্যাল ডিভিসনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র নিত্যানন্দ খান বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব ওই প্রকল্পের কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।”
জঙ্গলমহল বলতে মূলত ঝাড়গ্রাম মহকুমাই। নতুন সরকারের আবার ঝাড়গ্রামকে পৃথক জেলা করারও পরিকল্পনা রয়েছে। আগেই ঝাড়গ্রামকে পুলিশ জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এ বার স্বাস্থ্য-জেলাও গড়ে উঠতে চলেছে। সব দিক থেকেই অরণ্যশহরের গুরুত্ব বাড়ছে। নানা কাজ নিয়ে সাধারণ মানুষ মহকুমাশাসকের দফতরে আসেন। তাঁদের অনেকেই প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা। বাসে দীর্ঘপথ পেরিয়ে ঝাড়গ্রামে পৌঁছন। কিন্তু মহকুমাশাসকের দফতর সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই বলেই অভিযোগ। শুধু এখানেই নয়, জেলার অন্য এলাকার ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি। সরকারি দফতরগুলিতে জরুরি কাজে মানুষ আসেন। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আশপাশে পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, শৌচাগার থাকে না। ফলে, সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আগেই মহকুমাশাসকের দফতর ও সংলগ্ন এলাকা এবং এসডিও আবাসনে পৃথক দু’টি পানীয় জল প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পরিকল্পনা তৈরি হয়। অবশেষে অর্থ বরাদ্দ করল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, দু’টি প্রকল্পের ক্ষেত্রেই একটি করে গভীর নলকূপ তৈরি হবে। পাশে একটি করে জলাধার থাকবে। ওই জলাধার থেকেই পাইপের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে। মহকুমাশাসকের দফতর ও সংলগ্ন এলাকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৮৯ টাকা। আর আবাসনের ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ৮ হাজার ১২৯ টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে খরচ হবে ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৮১৮ টাকা। প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। সঙ্গে কয়েকটি শর্তও দেওয়া হয়েছে। যেমন, নির্মাণ-কাজে স্থানীয় শ্রমিকদেরই নিয়োগ করতে হবে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতি মাসের গোড়ায় রিপোর্ট পাঠাতে হবে। মেকানিক্যাল ডিভিসনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের আশ্বাস, “সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।”
|
|
|
|
|
|