মালয়েশিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড সিলাম্বাম প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে স্টিক ফাইটিং বিভাগে রুপো জিতে ফিরলেন কোচবিহারের অমরেশ বর্মন। গত ১৭-২২ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার নিলাই ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব সিলাম্বাম প্রতিযোগিতায় লাঠি নিয়ে লড়াই (স্টিক ফাইটিং)-এ ব্যাক্তিগত বিভাগে রুপো জেতেন কোচবিহার সদর মহকুমার বাণেশ্বর হাইস্কুলের ছাত্র দ্বাদশ শ্রেণির অমরেশ। এ ছাড়াও দলগত খেলায় ব্রোঞ্জ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। অমরেশ জানিয়েছেন, স্টিক ফাইটিং-এ লাঠি দিয়ে লড়াই করতে হয়। ব্যক্তিগত বিভাগে দু’ জন করে খেলোয়াড় যোগ দেয়। লাঠি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ এবং তা প্রতিহত করার উপর পয়েন্ট থাকে। ওয়ার্ল্ড সিলাম্বাম ফেডারেশন আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় ১৮-২০ বছর বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন অমরেশ। |
ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, চিন-সহ ১০টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেন। বুধবার জেলায় ফেরার পর থেকে অমরেশকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন তার সহপাঠী, স্কুলের শিক্ষক থেকে পরিচিতরা। অমরেশ বলেন, “চলতি মাসের ১৬ তারিখে চেন্নাই থেকে অন্যদের সঙ্গে মালয়েশিয়া যাই। আমি আশাবাদী ছিলাম কিছু একটা করব। সেই স্বপ্নটা পূরণ হওয়ায় ভাল লাগছে।” কোচবিহার সদর মহকুমার ডাংডিংগুড়ি এলাকার বাসিন্দা জলধর বর্মন ও সূর্যবালা দেবীর দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে অমরেশ বড়। জলধরবাবু খাদ্য নিগমের অস্থায়ী শ্রমিক। টানাটানির সংসার। তবে ছেলে ইচ্ছে পূরণে প্রায় ৬ বছর থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। অমরেশের মা বলেন, “সবাই পাশে দাঁড়ানোয় ওকে মালয়েশিয়া পাঠাতে পেরেছিলাম। ভবিষ্যতে সরকারের তরফে সাহায্য না পেলে কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।” বাণেশ্বর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক দ্বিজেন্দ্র নাথ ভৌমিক জানান, অমরেশের সাফল্যে তাঁরা গর্বিত। স্রেফ ইচ্ছা শক্তি আর অদম্য লড়াইয়ের মানসিকতার জোরেই ও সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। স্কুলের তরফে ওকে সংবর্ধনা জানানো হবে। প্রসঙ্গত, ভারত থেকে মোট ১৪ জনের দল মালয়েশিয়াতে গিয়েছিলন। তার মধ্যে স্টিক ফাইটিং বিভাগে অমরেশ একাই ছিলেন। |