বয়স্কদের রাজ্যস্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারী-শক্তির জয় জয়কার। প্রাক্তন বিধায়ক থেকে বধূ কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সদস্যা থেকে আশি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধাএকাধিক বিভাগে প্রথম হয়েছেন ৭ জন মহিলা। গত ২৪-২৫ ডিসেম্বর ‘মাস্টারস্ অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল’-এর উদ্যোগে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ২৭ তম ‘স্টেট মাস্টারস্ অ্যাথলেটিক মিট’ অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিযোগিতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৬২ জন বয়স্ক প্রতিযোগী যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা-প্রতিযোগী ছিলেন ২০ জন।
পঞ্চাশোর্ধ্বদের হাইজাম্প, লং-জাম্প ও ট্রিপল জাম্প বিভাগে প্রথম হয়েছেন বিনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা চুনিবালা হাঁসদা। পাঁচ হাজার মিটার হাঁটা ও আটশো মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন ঝাড়গ্রাম শহরেরই বাছুরডোবার বাসিন্দা ইলা সিংহ। পঞ্চান্ন-ঊর্ধ্ব বিভাগের লং-জাম্প ও দুশো মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন মেদিনীপুরের স্কুল শিক্ষিকা কবিতা গঙ্গোপাধ্যায়। পঁচাত্তর-ঊর্ধ্ব বিভাগের শট-পুট, ডিসকাস-থ্রো ও জ্যাভলিন থ্রো-তে প্রথম হয়েছেন খড়্গপুর শহরের সুভাষপল্লির বৃদ্ধা মীরা মুখোপাধ্যায়। পঁয়ত্রিশ-ঊর্ধ্ব বিভাগে শট-পুট, ডিসকাস থ্রো ও জ্যাভলিন থ্রো-তে প্রথম হয়েছেন খড়্গপুরের রেলকর্মী ইতি বর্মন।
ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা-কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণী মণ্ডল পঁয়ত্রিশ-ঊর্ধ্ব বিভাগের একশো ও দুশো মিটার দৌড় এবং লং-জাম্পে প্রথম হয়েছেন। ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া অঞ্চলের চিচুড়গেড়িয়া গ্রামে কল্যাণীদেবীর বাড়ি। পঁয়ত্রিশ-ঊর্ধ্ব বিভাগেরই আটশো মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন ঝাড়গ্রামের ধবাধোবিন গ্রামের বধূ কাজল মাহাতো। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দু’জন পুরুষ প্রতিযোগীও শীর্ষস্থান পেয়েছেন। ঝাড়গ্রামের সর্ডিহার ঝাড়েশ্বর মাহাতো সত্তরোর্ধ্ব বিভাগের ট্রিপল জাম্প ও লং-জাম্পে প্রথম হয়েছেন। পঁয়তাল্লিশ-ঊর্ধ্ব বিভাগে শালবনির রঞ্জিত মাহাতো পাঁচ হাজার ও দশ হাজার মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন। ‘মাস্টারস্ অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল’-এর পশ্চিম মেদিনীপুরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান দখল করা প্রতিযোগীরা আগামী ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠেয় বয়স্কদের জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়েছেন।” |