|
|
|
|
হাসপাতালের আবাসন সংস্কারে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হিজলি হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নতুন আবাসন নির্মাণে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। পুরনো কয়েকটি আবাসন মেরামত ও নতুন আবাসন তৈরি মিলিয়ে প্রাথমিক ভাবে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ লক্ষ টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “অনেকগুলি হাসপাতালের আবাসনই বেহাল হয়ে রয়েছে। হিজলির অবস্থা খুবই খারাপ। সরকার অর্থ মঞ্জুর করলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
১৯৫২ সালে তৈরি হয়েছিল হিজলি গ্রামীণ হাসপাতাল। তবে গত ছয় দশকে পরিকাঠামোর তেমন উন্নতি হয়নি বলেই অভিযোগ। দিনে দিনে জীর্ণ হয়েছে কর্মী-চিকিৎসকদের আবাসন। যে কয়েকটি ঘর এখনও রয়েছে সেগুলির অবর্ণনীয় অবস্থা। তার মধ্যেই কয়েক জন চিকিৎসক-কর্মী বহু কষ্টে থাকেন। হাসপাতালের সুপার পম্পা রায় বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই আবাসনের খারাপ অবস্থা। কয়েকটি ঘর একেবারেই ভেঙে গিয়েছে, কেউ থাকতে পারেন না। আর কয়েকটিতে অতি কষ্টে থাকতে হয়। বর্ষায় জল পড়ে। বিদ্যুতের ওয়্যারিং নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়েই থাকা।” ভেঙে পড়েছে আবাসনের শৌচাগারও। আবাসন সংস্কার ও নতুন আবাসন তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে খড়্গপুরের বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপালও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন। তার পরেই আবাসন সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
তবে এর জন্য যা আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে তা যথেষ্ট নয় বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মী সংখ্যা বাড়ার কথা। নতুন বেশ কিছু পদের অনুমতিও মিলেছে। যদিও এখনও সব পদে কর্মী ও চিকিৎসক যোগ দেননি। কিন্তু যদি সবাই যোগ দেন তা হলে অনেক বেশি ঘরের দরকার হবে (আগে ছিল ৪৩টি)। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, আপাতত যে সব ঘর একেবারে ভেঙে পড়েছে, সেগুলি সংস্কারের জন্যই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নতুন চিকিৎসকদের জন্য বাড়তি আবাসনের ব্যবস্থাও দ্রুত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|