|
|
|
|
পাল্টা মারে জখম তৃণমূল কর্মী হাসপাতালে |
আরামবাগে সিপিএমের দুই নেতা-কর্মীকে মারধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সিপিএমের এক লোকাল কমিটি সদস্য এবং এক মহিলা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এক কর্মীকেও পাল্টা মারধর করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের কাষ্টদহি গ্রামে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিপিএম কর্মী চাঁপা রানা গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করেন। এ দিন প্রহৃত হয়েছেন তিনি। চাঁপাদেবীর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের সময় সিপিএমের হয়ে প্রচারে সামিল হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। ২৩ অক্টোবর ওই ঘটনার জেরে তিন তৃণমূল কর্মীর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চাঁপা। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে ‘হুমকি’ দেওয়া হচ্ছিল। চাঁপাদেবীর দাবি, মামলা তুলে নিতে রাজিও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঢুকে আচমকাই তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়। তাঁকে বাঁচাতে এসে আরামবাগ ৪ নম্বর লোকাল কমিটির সদস্য তথা মায়াপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান স্বপন দত্ত ওরফে বুল্টিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্বপনবাবুকে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। তিনি বলেন, “ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছেই আমার বাড়ি। চাঁপার চিৎকার শুনে এসে দেখি ওকে মারধর করছে। আমি ঠেকাতে গেলে মাটিতে ফেলে লাথি-ঘুষি মারে।” এই ঘটনার জেরে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা উজ্জ্বল পাল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে পাল্টা মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁকেও ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
এ দিন মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুব্রত কুণ্ডু বলেন, “ওই মহিলাকে দিদি বলে ডেকে বলেছিলাম, উনি মামলা তুলে নেবেন বলার পরেও বুধবার আমাদের নামে সমন এসেছে। উনি গালাগালি শুরু করায় ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ওই সময় স্বপন দত্ত মাতব্বরি করতে এলে তাঁকে গ্রামের লোকেরাই পেটায়।” |
|
|
|
|
|