নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর সৌজন্যেই এখন রঙের ছোঁয়া ফুলের সংগঠিত বাজারে। চরম ব্যস্ত দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও পুণে। অথচ কলকাতা অনেকটাই ফিকে। সংশ্লিষ্ট মহলের পরিসংখ্যান বলছে, এই শহরে বছরে ১০ -১৫ % হারে কমছে ফুলের ব্যবসা।
৩১ ডিসেম্বর কলকাতার এক নামী দোকানে অর্ডার ৩০০। যেখানে পুণের এক দোকানে তা ২০০০। বেঙ্গালুরুতে ৬৫০০। আর এতটা পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কলকাতায় কর্পোরেট সংস্থার অভাব।
নিউ মার্কেটে ৯০ বছরের পুরনো ফুলের দোকান এ সি বোস -এর কর্তা সুদীপ বোস বলেন, “ফুলের সংগঠিত ব্যবসা কর্পোরেট নির্ভর। কলকাতায় এ ধরনের সংস্থা কমছে। তাই অন্য শহরে ব্যবসা বাড়লেও এখানে তা চলছে টিমটিম করে।” তাঁর যুক্তিকে পোক্ত করেছে নিউ মার্কেটের ফুল বাজার। এই চত্বরে ৩৫টি দোকানের ৫টি দেখাশোনা করেন মালিকরা। বাকিগুলি চালান কর্মীরাই। কারণ মালিকরা লাভের মুখ দেখতে নয়া ব্যবসায় নেমেছেন। ১০০ বছর পুরনো ব্যানার্জি অ্যান্ড ব্রাদার্স -এর মালিক অঞ্জন নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কলকাতার ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা অন্য শহরের মতো নয়। তাই দাম বাড়ায় কমছে চাহিদা। কমছে কর্পোরেট অর্ডার।”
অথচ ইন্ডিয়ান ফ্লাওয়ার্স অ্যান্ড অর্নামেন্টাল প্লান্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন -এর তথ্য বলছে, দেশের ফুলের বাজার ১০০০ কোটি টাকার বেশি। সম্ভাবনা এতটাই যে, এই বাজার সংগঠিত হলে ব্যবসা ছোঁবে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই তথ্য দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, পুণের মতো শহর প্রমাণও করছে। যেমন, দিল্লির ফার্নস অ্যান্ড পেটালস ২০০ বর্গফুট নিয়ে শুরু করে এখন ১০০ কোটির ব্যবসা করে। ১১০টি বিপণি। সংস্থা কর্তা বিকাশ গুটগুটিয়ার দাবি, শহুরে ক্রেতার চাহিদা মিটিয়েই এই উত্তরণ। তিনি বলেন, “দোকান ছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফুল বিক্রির সম্ভাবনা বিশাল। সেই বাজার ধরার চেষ্টা করেছি।” ইন্টারনেটে বিক্রিতে ভরসা রয়েছে সুদীপবাবুরও। মোট ব্যবসার ৭০ % ইন্টারনেটের মাধ্যমেই করেন তাঁরা। |