এক ধাক্কায় ১ .৮১ % থেকে ০ .৪২ %। গত ১৭ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্য প্রকাশিত খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার আমজনতার বাজার খরচ কমিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, অর্থনীতির হাল ফেরানোর চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করতে পারে ছ’বছরের মধ্যে সবচেয়ে নীচে নেমে আসা এই হার। কী ভাবে অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করবে এক শতাংশের নীচে নেমে আসা খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি?
বিশেষজ্ঞদের মত হল :
• সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি মার্চের মধ্যে নেমে আসবে ৬ শতাংশে, যে ইঙ্গিত আজই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।
• রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২৪ জানুয়ারির ঋণনীতিতে সুদ কমানোর পথেই ফিরতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাঙ্কিং মহল।
• সে ক্ষেত্রে শিল্পের হাতে নগদের জোগান বাড়লে তা শিল্প বৃদ্ধিকেও টেনে তুলবে। |
সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি হিসাব করার ক্ষেত্রে খাদ্য সামগ্রীর গুরুত্ব ১৪ %। সেই কারণেই এ বার ওই হার কমার মুখ নেবে বলে আশা। আলোচ্য সপ্তাহে সাধারণ ভাবে সব্জির দাম কমেছে প্রায় ৩৬ % , পেঁয়াজ ৫৯ % , আলু ৩৪ % , গম ৩ %। খরিফ শস্যের ভাল ফলন ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দায়ী করেছেন গত বছরের চড়া মূল্যবৃদ্ধিকেও। ওই চড়া হারের ভিত্তিতে হিসেবের জন্যই তলানিতে নামছে মূল্যবৃদ্ধি। প্রসঙ্গত, গত বছর তা ছিল ১৫ .৪৮ %। এ দিকে, মূল্যবৃদ্ধি কমার খবরেও আজ বাড়েনি সেনসেক্স। পড়েছে প্রায় ১৮৪ পয়েন্ট। ডলারে টাকাও পড়েছে ১০ পয়সা। |