বক্রেশ্বরে পর্যটনমন্ত্রী। ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত। |
বক্রেশ্বরের উন্নয়নের পাশাপাশি জেলার অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে একাধিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “তারাপীঠ, বক্রেশ্বর-সহ জেলার ৫টি পীঠস্থান এবং শান্তিনিকেতনের মধ্যে বাস যোগাযোগ শুরু হয়েছে। পর্যটন মানচিত্রে বীরভূমকে বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি এই সব দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে তথ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে শান্তিনিকেতন স্টেশনের কাছে।” পর্যটনমন্ত্রী আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, “খুব শীঘ্রই বক্রেশ্বরে বাচ্চাদের জন্য পার্ক, বক্রেশ্বরে থাকা জলাশয়ে খেলার ব্যবস্থা এবং এখানে যাতে ভাল খাবার পাওয়া যায় সে জন্য ‘ফুডকোড’ গড়ে তোলা হবে।”
উষ্ণপ্রস্রবনের ঘাট খুলছে শুনে আনন্দিত এলাকার বাসিন্দারা। কারণ, ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় এই সৌন্দর্যায়নের শিলান্যাস করেছিলেন। তার মাস খানেক পরে কাজ শুরু হলেও শেষ করতে দেড় বছর পেরিয়ে যায়। শীতে পর্যটকদের কাছে বক্রেশ্বর আকর্ষণ হারিয়ে ছিল বলে অভিযোগ বক্রেশ্বর শিব মন্দিরের সেবাইত, পাণ্ডা থেকে এলাকার বাসিন্দাদের। সেবাইত সমিতির সম্পাদক রাসবিহারী আচার্য বলেন, “এখনও উষ্ণপ্রস্রবনে বিদ্যুদয়ন-সহ কিছু কাজ বাকি। সেটুকু সমাপ্ত করে পর্যটকদের জন্য স্নানের ঘাট খুললে আমরা উপকৃত হব।” জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “পর্যটনকেন্দ্রগুলির উন্নয়ন হলে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নতি হবে।’’
বক্রেশ্বরে অনুষ্ঠান শেষে পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ তারাপীঠে পুজো দিতে যান। প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে দ্বারকা নদ থেকে দুই অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার পরে পুলিশের ভূমিকা ও এলাকার আলোর ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাসিন্দারা। তাই বাসিন্দারা মন্ত্রীর কাছে তারাপীঠে রাস্তাঘাট সংস্কার ও পর্যাপ্ত আলোর দাবি জানান। মন্ত্রীর কাছে বাসিন্দারা আরও দাবি রেখেছেন, দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট মন্দিরের মতো তারাপীঠ মন্দিরকেও আলোয় সাজানো হোক। মন্ত্রী বলেন, “বাকি দাবিও পূরণ করা হবে। দু’এক দিনের মধ্যে শান্তিনিকেতন থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত বীরভূমের ৫টি পর্যটনকেন্দ্র এক সঙ্গে ঘোরার জন্য বাস চালু করা হবে। পরে ,তারাপীঠ থেকে শান্তিনিকেতন পর্যন্ত বাস চালুর চিন্তা করা হবে।” এ দিন তারাপীঠে ঢোকার আগে মনসুবা মোড়ের কাছে বিশালাকার তোরণ দ্বারের শিলান্যাস করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বাইরে থাকার জন্য সেই কাজ হয়নি। |