ইন্দিরা আবাস নিয়ে দুর্নীতি সাঁইথিয়ায়
কই নামের এক ব্যক্তির ইন্দিরা আবাসের টাকা সেই নামেরই অন্য এক ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। এক জন নয়, একই গ্রামের দু’জনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি সাঁইথিয়া ব্লকের হরিসড়া পঞ্চায়েতের। এ জন্য পঞ্চায়েতের সিপিএমের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে যোগসাজস করার অভিযোগ এনেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা সাঁইথিয়ার বিডিও’র কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্ত উপপ্রধান শিবু বায়েন ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, “প্রকৃত প্রাপক ও যাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছে তাঁদের একই নাম হওয়ায় এই বিভ্রান্তি হয়েছে।”
ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবু বায়েন হরিসড়া সংসদের সদস্য। ওই সংসদেরই কদমখণ্ডী গ্রামের ঘটনা। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, কদমখণ্ডী গ্রামের যুক্তিপদ বায়েনের ছেলে সুকুমার বায়েন ও কৃষ্ণ বায়েনের ছেলে ভরত বায়েনকে ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে সহায়তা দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়। সপ্তাহ তিনেক আগে ওই প্রকল্পে ঘর তৈরি করার জন্য প্রথম কিস্তির সাড়ে ২২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু সেই টাকা প্রকৃত উপভোক্তাদের হাতে পৌঁছয় নি। প্রকৃত ওই উপভোক্তাদের অভিযোগ, “আমরা টাকা পাইনি। কোনও রকমে বাস করি। বিপিএল গ্রাহক হওয়া সত্বেও এত দিন ইন্দিরা আবাসে আমাদের বাছাই করা হয়নি। এ বার আমাদের নাম ঠিক করা হলেও টাকা পেয়ে গেল অন্যরা। আমরা কবে ঘর তৈরির টাকা পাব?” তাঁরা জানিয়েছেন, প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বিজয় বায়েনের ছেলে সুকুমার বায়েন ও সুন্দর বায়েনের ছেলে ভরত বায়েনকে। তাঁরা অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি।
তৃণমূলের হরিসড়া অঞ্চলের সহ সভাপতি করুনা ঘোষের অভিযোগ, “ইন্দিরা আবাসের টাকা ভুল করে দেওয়া হয়নি। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপপ্রধান ‘যোগসাজস’ করে এই কাণ্ড করেছেন। এ ভাবে সিপিএম নানা এলাকায় দুর্নীতি করছে। ওই উপপ্রধান কী করে দু’জন ভুল লোককে ওই টাকা দিলেন? প্রশাসনের কাছে আমরা তদন্তের দাবি করে উপ প্রধানকে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” তাঁর অভিযোগে, এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। উপপ্রধান শিবুবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, “এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। নিছকই ভুল করে এই ঘটনা হয়েছে। বিডিও’কে জানিয়েছি।” হরিসড়া পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান রানি মুর্মু বলেন, “এক জনের প্রাপ্য টাকা অন্য জনকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপপ্রধান ওই এলাকার বাসিন্দা। কী করে এমন ঘটনা হল তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” সাঁইথিয়ার বিডিও উৎপল চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। উপপ্রধানকে বলেছি যাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন ওই টাকা খরচ না করেন। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.