উদ্বোধনের আট মাসেও ডোমকলে চালু হয়নি মর্গ |
আট মাস আগে উদ্বোধন হলেও চালু হয়নি ডোমকল মহকুমা হাসপাতালের মর্গ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মর্গ চালু করতে গেলে ডোমের প্রয়োজন। ডোমের নিয়োগ না হওয়ায় সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও মর্গ চালু করা যাচ্ছে না।” ডোমকলের এসডিও ও মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য ভবনে আবেদন জানিয়েছি ডোম নিয়োগের জন্য।” ৭ বছর আগে তৈরি মহকুমা হাসপাতালে এখনও নেই ব্লাড ব্যাঙ্ক। ফলে বড় অস্ত্রোপচার করা হয় না। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘটা করে উদ্বোধন হয় মর্গের। মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, “মর্গের ঘর, সরঞ্জাম সবই তৈরি। কেবল ডোম নিয়োগ না হওয়ায় চালু করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য ভবনে ডোম নিয়োগের আবেদন জানানো হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে নিয়োগ হবে বলে শুনেছি।” মহকুমা হাসপাতালে মর্গ না থাকায় ডোমকল এলাকার মানুষকে ময়না-তদন্তের জন্য যেতে হয় জেলা সদর বহরমপুর বা লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে।
ডোমকলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, “ডোমকল থেকে প্রায় ৪০ কিমি পথ পেরিয়ে মৃতদেহ নিয়ে বহরমপুর বা লালবাগ পৌছতে হয়। অনেক সময় ময়না-তদন্ত হয় না। দুপুরে কোনও দেহের ময়না-তদন্তের প্রয়োজন হলে প্রথমে পুলিশি ঝামেলা সামলে তারপর বহরমপুর বা লালবাগ পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।” সেই সঙ্গে রাস্তার অবস্থাও খারাপ। তা ছাড়া মৃতদেহ নিয়ে যেতে গাড়ি ভাড়া করতে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা হয়।
|
হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হলেন কংগ্রেস বিধায়ক রায়গঞ্জের পুর চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত। বুধবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করতে যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, একাধিক চিকিৎসক বড়দিনের ছুটিতে যাওয়ায় হাসপাতালের ১১টি আউটডোরের মধ্যে চর্ম, মানসিক, শিশু, সার্জারি, প্রসূতি ও চোখ-সহ ৯টি আউটডোর বন্ধ ছিল। শুধু দাঁত ও নাক-কান-গলা বিভাগের আউটডোর খোলা ছিল। আউটডোর বন্ধ থাকায় এদিন বহু রোগী ফিরে যান। কেন একসঙ্গে এতজন চিকিৎসকের ছুটি মঞ্জুর করা হল সেই ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সুপারের কাছে কৈফিয়ত চান। ভারপ্রাপ্ত সুপার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এক সঙ্গে অনেকে ছুটিতে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।”
|
এ রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে প্রয়োজন ২০০০ চিকিৎসক। বাস্তবে তা ১১০০। ইউনিসেফের এই তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি এক সভার আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স। ‘হেলথকেয়ার, ইটস রিচ, কস্ট, ইউটিলিটি’ শীর্ষক আলোচনায় উঠে আসে স্বাস্থ্য পরিষেবায় পরিকাঠামো ব্যবস্থার ঘাটতি। বণিকসভার চেয়ারম্যান অম্বরীশ দাশগুপ্ত জানান, স্বাস্থ্য পরিষেবার আমূল সংস্কার ছাড়া সকলের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। |