সারের দাম কমানোর দাবিতে পথ অবরোধ |
চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা, সারের দাম কমানো, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ দেওয়া। এমনই একগুচ্ছ দাবিতে বুধবার জেলার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করল সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষকসভা। এ দিন দুপুর ২টো থেকে আড়াইটে পর্যন্ত অবরোধের জেরে বিভিন্ন রাস্তায় জানজটের সৃষ্টি হয়। রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, খয়ারাশোলের পাঁচড়া মোড়, দুবরাজপুর থানা এলাকার সাতকেন্দুরি মোড়, সদাইপুর থানা এলাকার চিনপাই, জামবুনি বাসস্ট্যান্ড, রামপুরহাটের বাঁড়শালা মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ হয়। শুধু জাতীয় সড়ক নয়, ওই একই সময়ে বিভিন্ন ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও অবরোধ করা হয়েছিল কৃষকসভার পক্ষ থেকে। এ দিনই দুপুর আড়াইটে থেকে তিনটে পর্যন্ত নানুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া তেমাথার মোড় থেকে নানুর-বোলপুর, নানুর-বাসাপাড়া এবং নানুর-কীর্ণাহার সড়ক অবরোধ করেন কৃষকসভার নানুর থানা কমিটি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ সাসের দাম বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। তাই ওই সব দাবিতে ৪ জানুয়ারি গ্রামবাংলা বন্ধ পালন করব।”
|
মহেশ্বরীদের দায়িত্ব থেকে সরাল দল |
প্রাক্তন সাংসদ সরলা মহেশ্বরী এবং তাঁর ব্যবসায়ী স্বামী অরুণ মহেশ্বরীকে শেষ পর্যন্ত দলের হিন্দি মুখপত্রের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল সিপিএম। ওই মুখপত্রের ইউনিট সম্পাদক ছিলেন অরুণ। সরলা ছিলেন হিন্দি সাহিত্য শাখার দায়িত্বে। দু’জনকেই দায়িত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে বলে সিপিএম সূত্রের খবর। রাজারহাটে জমি কেলেঙ্কারি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি সংক্রান্ত নানা অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে ছিল। সম্প্রতি তাঁদের একাধিক দফতর এবং বাড়িতে আয়কর হানা হয়। তার জেরেই ওই সিদ্ধান্ত বলে একটি সূত্রের ব্যাখ্যা। বুধবার রাত পর্যন্ত যোগাযোগ করেও এই বিষয়ে মহেশ্বরীদের বক্তব্য জানা যায়নি। সরলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রভূত বিতর্ক হয়েছে সিপিএমে। রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু-সহ একাংশের যুক্তি ছিল, প্রাক্তন সাংসদের স্বামীর ব্যবসায় কোনও বেনিয়ম থাকলেও সরলাকে কেন মূল্য দিতে হবে? মহেশ্বরীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির একাংশ অবশ্য আলিমুদ্দিনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে। তার আগে মহেশ্বরী সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই দলের একাংশের ব্যাখ্যা। |