টুকরো খবর
জমে উঠেছে বড়দিনের মেলা
বড়দিনে মেতেছে বেগোপাড়া। বড়দিন আর নতুন বছর উদযাপনে বসেছে মেলাও। সব মিলিয়ে জমজমাট বেগোপাড়ার বড়দিনের মেলা। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন গোমস বলেন, “কর্মসূত্রে বাইরে থাকি। সারা বছর আমরা অপেক্ষা করে থাকি এই দিনগুলোর জন্য। ২ বছর আসতে পারিনি।” আর এক বাসিন্দা রীতা মণ্ডল বলেন, “এই সময়ে বাড়ির লোকেরা ফিরলে সত্যিই খুব ভাল লাগে। কিন্তু কাজের জন্য অনেকেই ফিরতে পারেন না। এই উৎসবে কেক, পিঠে তৈরি করি আমরা। আত্মীয় স্বজনেরাও আসেন।” গাংনাপুরের বেগোপাড়ার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই রবিবার থেকে বসেছে মেলা। চলবে শনিবার পর্যন্ত। মেলায় প্রতি দিন ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকে আবার দুর থেকেও মেলা দেখতে আসছেন। রানাঘাট নাসড়াপাড়ার বাসিন্দা নৌসাদ আলি বলেন, “বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এই মেলায় আসেন। আমরাও যাই।এক কথায় এই মেলা সম্প্রীতির মেলায় পরিনত হয়।” উৎসবের মরসুমে এখানে তৈরি করা হয় অস্থায়ী একটি কেকের কারখানাও। দিন পনেরোর জন্য তৈরি এই কারখানায় কেক তৈরি করাতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। কারখানার মালিক সুদান গোমস জানান, “এক কেজি কেক তৈরি করতে ১৪০ টাকা নেওয়া হয়। উপকরণ ক্রেতাকেই আনতে হয়।” বৈদ্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নগর রায় বলেন, “এখানে প্রায় এক হাজার খ্রিস্টান পরিবার আছেন। সকলেই এই উৎসব ঘিরে মেতে ওঠেন।”

কংগ্রেসের বিক্ষোভ
শহরের মধ্যে ময়লা ফেলার জায়গা তৈরির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ সিংহ বলেন, “জঙ্গিপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে ময়লা ফেলার জায়গা বা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হলে আবর্জনার দুর্গন্ধে স্থানীয়রা থাকতে পারবেন না। এলাকার ৪০০ জন বাসিন্দা পুরসভার কাছে একটি প্রতিবাদ পত্রও দিয়েছেন।” পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “জঙ্গিপুর শহরে কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জমি কেনা হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা দিয়ে। সেখানে প্রাথমিক ভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির সিদ্ধান্ত হলেও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। তাঁরাই বিষয়টি দেখছেন। ওই জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হলেও তা সাত ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা অমূলক।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সমীর পণ্ডিত বলেন, “কমিটিতে আমাকে রাখা হলেও এ ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি ওই জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির বিরোধিতা করে পুরসভাকে জানিয়ে দিয়েছি।”

হরিহরপাড়ার স্কুলে বিক্ষোভ
সিপিএমের মদতেই স্কুলে চুরি হয়েছে। এই অভিযোগে বুধবার হরিহরপাড়ার রুকুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করল কংগ্রেস। অভিযোগ, ২৬ তারিখে স্কুলে সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় কেনা সিমেন্টের কয়েকটি বস্তা চুরি যায়। স্কুলের পরিচালন সমিতির দায়িত্বে রয়েছে সিপিএম। কংগ্রেসের হরিহরপাড়া ব্লক সাধারণ সম্পাদক বিলাসচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “স্কুলের নৈশ প্রহরীকে সিপিএম নিয়োগ করেছে। ওর দোষেই স্কুলে চুরি হয়েছে। তবুও সিপিএমের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশ ৭ দিনে ব্যবস্থা না নিলে ফের আন্দোলনে নামব।” স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সিপিএমের বিধায়ক ইনসার আলি বিশ্বাস বলেন, “স্কুলে নির্মাণ কাজ হচ্ছিল। সেই সময়ে সামন্য সিমেন্ট খোয়া গিয়েছে। আমরা নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।”

মাটি ধসে মৃত্যু
কান্দির ন’পাড়ায় বুধবার মৃত্যু হয় হাসান শেখ (৪) নামে এক শিশুর। বাড়িতে খোড়াখুড়ির কাজ চলছিল। এ দিন হাসান গর্তে নেমেছিল। আচমকা মাটি ধসে সে জখম হয়। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.