বনগাঁ শহরের ট বাজারে অভিযান চালিয়ে নানা মাপের ১৭০টি কচ্ছপ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে বনগাঁর এসডিপিও জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হানা দেয়। প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল কচ্ছপগুলি। কচ্ছপ উদ্ধারের পাশাপাশি পুলিশ এক কারবারিকেও হাতেনাতে ধরেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম পুলিন হালদার, বাড়ি শিমূলতলায়। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীত শুরু হতেই বনগাঁ মহকুমার প্রায় সব বাজারেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে কচ্ছপ। মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এখানে কচ্ছপ নিয়ে আসা হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে কচ্ছপ খাওয়ার চাহিদাও প্রচুর। সম্প্রতি বন দফতরের পক্ষ থেকে হাবরার মছলন্দপুর বাজার থেকে বেশ কিছু কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন থেকে নিয়মিত ভাবে মহকুমার প্রতিটি বাজারে অভিযান চালান হবে। এ দিন উদ্ধার হওয়া কচ্ছপের মোট ওজন, ১ কুইন্টাল ২৫ কিলো। ৫০০ গ্রাম থেকে ২ কিলো সাইজের ওজনের কচ্ছপও মিলেছে। কিলোপ্রতি কচ্ছপের মূল্য ৩০০ টাকা।
|
হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন শালবনির বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাস। বুধবার সকালে মণ্ডলকুপি, খামারবাড়, বীড়কাঁড় ঘুরে কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। বিডিও-কে পেয়ে গ্রামবাসীরা বেশ কিছু অভিযোগও জানান। তাঁদের বক্তব্য, হাতির হানায় প্রচুর শস্যহানি হয়। কিন্তু, হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে বন দফতরের তৎপরতা দেখা যায় না। বিডিও আশ্বাস দেন, এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর সব রকম চেষ্টা করছে বন দফতর। হাতির দলকে দলমায় ফেরত পাঠাতে এ বার বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। এখন যে দলটি আঁধারনয়ন জঙ্গলে রয়েছে, তাতে ৮০টিরও বেশি হাতি আছে। এর মধ্যে আবার ৬-৭টি বাচ্চা হাতি। এ জন্যই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সোমবার রাতে শালবনির বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালায় হাতির দল। বন দফতর ভেবেছিল, দলটিকে তাড়িয়ে লালগড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তা হয়নি। রঞ্জার জঙ্গল থেকে দলটি মিরগায় ঢুকে পড়ে। পরে আড়াবাড়ি হয়ে চলে যায় আঁধারনয়ন জঙ্গলে। যাতায়াতের পথে প্রচুর শস্য নষ্ট হয়। এই পরিস্থিতিতে দলটি নয়াবসতে না গেলে শস্যহানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখন মাঠে ধান নেই। ফলে খাদ্যের খোঁজে প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে দলটি। বন দফতর অবশ্য জানিয়েছে, দলটিকে নয়াবসতে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
|
কাঁসাই ও অ্যানিকেতের পাশ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগে বুধবার পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করল। নাম সমরেন্দ্র মাইতি। খড়্গপুর লোকাল থানার মাতকাতপুর গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার সকালে মোহনপুর থেকে তাঁকে ধরা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠির বক্তব্য, “প্রাথমিক তদন্তে জেনেছি, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ব্যক্তি অবৈধ বালি তোলায় যুক্ত। একটা বড় চক্রও চলছিল।” সমরেন্দ্রবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অবৈধ খাদান ও বালি তোলার সঙ্গে যুক্ত অনেকের সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যাবে বলে পুলিশ আশাবাদী। কাঁসাই থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা নতুন নয়। টাকার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা বড় বড় যন্ত্র নিয়ে হাজির হয়। জেনারেটরের মাধ্যমে যন্ত্র দিয়ে নদীচরে ১৫-২০ ফুট গর্ত করেও বালি তোলা হয়। যে গর্তে পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ক্ষতি হয়েছে অ্যানিকেতের। পানীয় জল সংগ্রহের পাম্প-ঘরের সামনেও গর্ত হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে কোটি কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টিও।
|
খয়েরবাড়ি রেসকিউ সেন্টার থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ভোপালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বন মন্ত্রী হিতেন বর্মন। বনমন্ত্রীর কথায়, “পর্যটকেরা আসায় গ্রামবাসী আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। বাঘগুলি চলে গেলে পর্যটন শিল্পে আঘাত পড়বে। ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত খয়েরবাড়ি থেকে কোনও বাঘ নিয়ে ভোপালে হবে না বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশ্চয়তা দিয়েছেন। বাঘের খাবারের জন্য বকেয়া ২৮ লক্ষ টাকাও কেন্দ্র মঞ্জুর করেছেন।” ২০০৫ সালে রেসকিউ সেন্টারে ১৯ বাঘ আনা হয়। নানা অসুখে ভুগে বেশ কয়েকটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। |