প্রবন্ধ ২...
উন্নততর ধনতন্ত্র, না বিধ্বংসী বিপর্যয়
টাইম ম্যাগাজিন ‘বছরের বিশিষ্ট ব্যক্তি’ হিসেবে সচরাচর প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পপতি, বিদ্রোহী নেতা, এই ধরনের ক্ষমতাশালী মানুষকে বেছে নেন। এ বছর তাঁদের নির্বাচন একটু অন্য রকম। টাইমের বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়েছেন নামহীন, অতি সাধারণ ‘প্রতিবাদী মানুষ’। বাঙালি এ বছর রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে মেতে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু বিশ্বের আঙিনায় এক অন্য পরিবর্তনের জোয়ার এনেছে জন-আন্দোলনের নয়া রাজনীতি। পশ্চিম এশিয়ায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ একনায়কদের গদি উল্টেছে দিল্লিতে অণ্ণা হজারের মুহুর্মুহু অনশন সামাল দিতে গিয়ে কংগ্রেস সরকারের নাজেহাল অবস্থা। ইউরোপের দেনায় জর্জরিত দেশগুলোয় সরকার মাইনে আর পেনশনে কোপ বসাতে গিয়ে কুপোকাত হয়েছে। গর্জে উঠে পথে নেমেছে জনতা। দলীয় রাজনীতির প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকে ভেঙেচুরে আমেরিকাতেও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এক অভিনব আন্দোলন ওয়াল স্ট্রিট দখল অভিযান।
নিউ ইয়র্ক শহরে মিছিল, পতাকা, ইনকিলাব জিন্দাবাদ সচরাচর চোখে পড়ে না। এ হল পুঁজিবাদের রাজধানী, এখানে স্যুট পরা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার সেন্ট্রাল পার্কের পায়রাদের মতোই নির্ভয়ে বিচরণ করে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ হেন শশব্যস্ত মহানগরীতে হঠাৎ যেন কলকাতার হাওয়া এসে লেগেছে। পার্কে, ফুটপাথে, পথের মোড়ে প্রতিবাদী অবস্থান। স্লোগান শুনে মনে হয় এই জনরোষের মূল লক্ষ্য ছোটখাটো দুর্নীতি নয়, এ যেন ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই তোপ দাগা শুরু হয়েছে: ‘মুনাফার ওপরে মানুষ সত্য। মাথা পিছু একটি ভোট, ডলার পিছু নয়। আমরাই ৯৯ শতাংশ।’পণ্ডিতদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘশ্বাস ফেলে, মাথা নেড়ে বলেছেন: ‘এই আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট দাবি নেই। এ তো আত্মমগ্ন, চিন্তাবিহীন বিলাপ মাত্র। কী চায় এরা?’ আবার কেউ দোষারোপ করেছেন গত তিন বছরের অর্থনৈতিক ডামাডোলকে। ওয়াল স্ট্রিট ঋণের বাজারে ফাটকা খেলতে গিয়ে মন্দা ঘটিয়েছে, এটাই ক্ষোভের কারণ। মন্দা কেটে গেলেই ঝামেলা মিটে যাবে।
একটু তলিয়ে দেখলে কিন্তু সন্দেহ হয় এই বিক্ষোভ সাময়িক অশান্তি নয়। গত তিন দশকে ইংরেজিভাষী উন্নত দেশগুলোয়, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, অর্থনৈতিক অসাম্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গরিব আর বড়লোকের মধ্যে ব্যবধান বেড়েই চলেছে, মধ্যবিত্ত সমাজও ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। কয়েকটা তথ্য আর পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে এই ছবিটা পরিষ্কার ধরা পড়ে।
১৯৯৩ থেকে ২০০৬, এই সময়টুকুতে আমেরিকায় মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় বেড়েছে ২৮ শতাংশ। এই আয়বৃদ্ধির অর্ধেকটাই কিন্তু গেছে সব চেয়ে বড়লোক ১ শতাংশের পকেটে। বুশ জমানায় (২০০২-০৬) এই অসম বণ্টন আরও দৃষ্টিকটু। এই পাঁচ বছরে জাতীয় আয়বৃদ্ধির তিন-চতুর্থাংশই কব্জা করেছে ১ শতাংশ বিত্তবান মানুষ।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা দেখা যাক। তিরিশের দশকে মহামন্দার আগে আমেরিকায় অর্থনৈতিক অসাম্য খুব বেশি ছিল। এই সময়ে ১০ শতাংশ মানুষ জাতীয় আয়ের ৪৫ শতাংশের ভাগীদার ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই ভাগটা কমে দাঁড়ায় ৩১-৩২ শতাংশে। সত্তরের দশকের শেষ পর্যন্ত এ ভাবেই চলছিল। তার পর থেকেই আবার হু-হু করে ধনীর লক্ষ্মীলাভ ঘটেছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ১০ শতাংশ লোক এখন জাতীয় আয়ের অর্ধেকটাই ভোগ করছেন। এর মধ্যেও আবার সর্বোচ্চ ১ শতাংশের সব চাইতে রমরমা। আশির দশকের গোড়ায় এঁদের ভাগ ছিল ১০ শতাংশের কম। এখন তা বেড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ ছুঁয়েছে।
অনেকে বলে থাকেন আমেরিকায় আয়ের বৈষম্য আছে বটে, কিন্তু সুযোগের সাম্যও পর্যাপ্ত। ও দেশ মেধা আর পরিশ্রমের কদর করে। ধনদৌলতের উৎস ব্যক্তির নিজস্ব প্রতিভা। জাত বা বংশের পরিচয় দিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক ভাগ্য নির্ণয় হয় না। পরিসংখ্যান কিন্তু এ কথা সমর্থন করে না। অর্থনৈতিক হাল বংশপরম্পরায় বর্তে যায়, গরিবের সন্তান গরিবই থেকে যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আজ যাঁরা দরিদ্রতম ১০ শতাংশের মধ্যে, তাঁদের উত্তরসূরিরা ভবিষ্যতে গড় জাতীয় আয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবেন ঠিকই, কিন্তু সময় লাগবে গড়ে পাঁচ প্রজন্ম।

বৈষম্য যে ক্রমবর্ধমান, এ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মনে কোনও সন্দেহ নেই, কিন্তু এর উৎস কোথায় সে বিষয়ে নানা মত রয়েছে। দু’টি সম্ভাব্য কারণ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, আশির দশকের গোড়ায় ব্রিটেনে থ্যাচার এবং আমেরিকায় রেগনের উত্থান ওই দুই দেশে দক্ষিণপন্থী রাজনীতি এবং চিন্তাধারার এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছিল। অসাম্যের বৃদ্ধি এই সময়টার সঙ্গে একেবারে খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, নব্বইয়ের দশক থেকে তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিশ্বায়নের যে একটা জোয়ার এসেছে, গরিব আর বড়লোকের মধ্যে ফারাক বাড়ার তা একটা বড় কারণ হতে পারে।
পৃথিবীব্যাপী মহা মন্দা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উন্নত দেশগুলোয় কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের পত্তন হয়। আয়কর বাড়ানো হয় অনেকটাই, এবং ব্যক্তির আয় যত বেশি, তাঁর ওপর করের হার তত বেশি ধার্য হয়। অপর দিকে মানুষের জীবনের ন্যূনতম প্রয়োজন এবং স্বাচ্ছন্দ্যের ভার হাতে তুলে নেয় রাষ্ট্র। চিকিৎসা, শিক্ষা, পেনশন, বেকারভাতা এবং দরিদ্রের জন্য খাদ্যের কুপন বা সস্তার আবাসন ইত্যাদির বন্দোবস্ত হয়। বিশ্বযুদ্ধের পরে আয়ের যে তুলনামূলক সমবণ্টন চোখে পড়ে, তার পিছনে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বিরাট অবদান রয়েছে।
একটু আগে জাতীয় আয়ের ভাগ-বাঁটোয়ারার যে পরিসংখ্যান দিয়েছি, তার মধ্যে কিন্তু আয়কর বা সরকারি অনুদান ধরা হয়নি। অর্থাৎ, বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর আর্থিক সাম্য কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার কেবল প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ অবদানও বটে। দারিদ্র দূরীকরণ শুধু দরিদ্রের কষ্ট লাঘব করেনি, তার উৎপাদনশীলতা এবং আয়-ক্ষমতাও বাড়িয়েছিল।
‘রেগনমিক্স’-এর দৌলতে গত তিরিশ বছরে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ধনীর ওপর করের বোঝা ক্রমশ কমছে, কর্পোরেট জগতের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল হচ্ছে, আর নিম্নবিত্তের জন্য সরকারি সাহায্যে ভাটা পড়ছে। ১৯৬০ সালে সর্বোচ্চ আয়করের হার ছিল ৯১ শতাংশ। রেগন এবং বুশের কাটছাঁটের ফলে এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে। কর্পোরেট আয়কর ষাটের দশকে ছিল জাতীয় আয়ের প্রায় ৪ শতাংশ। সেটা এখন অর্ধেক হয়ে ২ শতাংশ মাত্র।
রেগনমিক্সের যুক্তি বলে, করের হার কমালে লগ্নি বাড়বে, ব্যবসাবাণিজ্যে জোয়ার আসবে, পরোক্ষে সুফল পাবেন সাধারণ মানুষও। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চাশ বা ষাটের দশকে যখন করের বোঝা ছিল অনেক ভারী, জাতীয় আয়ের বৃদ্ধির হার এখনকার তুলনায় বেশি বই কম ছিল না।
এ বার আসি প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের প্রসঙ্গে। ইউরোপ ও আমেরিকার ধনী দেশগুলোর পুঁজির সিংহভাগ কিন্তু চিরকালই অল্প কিছু লোকের হাতে ছিল। অধিকাংশ মানুষই সেখানে শ্রমজীবী। এ সত্ত্বেও বিংশ শতাব্দীতে ও-সব দেশে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। তার প্রধান কারণ, এই দেশগুলোর পুঁজির জোগান প্রচুর, কিন্তু তুলনায় শ্রমের জোগান কম, অতএব শ্রমের মজুরি বেড়ে গিয়ে সকলেই কমবেশি প্রাচুর্যের স্বাদ পেয়েছেন। তবে আমেরিকা ব্রিটেনের চিরাচরিত শিল্পগুলোর কিন্তু ক্রমশ অবলুপ্তি ঘটছে। ল্যাঙ্কাশায়ারের কাপড়ের মিল এখন ইতিহাস, ডেট্রয়েটের মোটরগাড়ির কারখানাগুলো চলেছে ধুকতে ধুকতে। এদের স্থান নিয়েছে কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি শিল্প, যেখানে কায়িক শ্রমের চাইতে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন ঢের বেশি।
আবারও কয়েকটা পরিসংখ্যান চোখ বোলালে অর্থনীতির এই গতিবিধি পরিষ্কার হবে। উন্নত দেশগুলো সচরাচর নিজেদের মধ্যেই আমদানি রফতানি সীমাবদ্ধ রাখত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এই প্রথাগত রীতি দ্রুত বদলাচ্ছে। ১৯৯০ সালে উন্নয়নশীল দুনিয়া থেকে আমেরিকার আমদানির পরিমাণ ছিল জাতীয় আয়ের ২.৫ শতাংশ, কিন্তু ২০০৬ সালে সেটা বেড়ে ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দুই দেশ চিন এবং মেক্সিকো। মেক্সিকোতে মজুরির হার আমেরিকার ১১ শতাংশ, আর চিনে মাত্র ৩ শতাংশ। বিশ্বের এই বিপুল সস্তা শ্রমের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আমেরিকার শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের আয় স্বাভাবিক ভাবেই নিম্নগামী হয়েছে।
তবে এমন ভাবলে ভুল হবে যে, সামগ্রিক ভাবে শ্রমিকদের সর্বনাশ করে পুঁজির মালিকরা লাভবান হয়েছেন। আসলে, আমেরিকার শ্রমিকরা নিজেরাই গত কয়েক দশকে ক্রমশই দুটো দলে ভাগ হয়ে যাচ্ছেন। এক দিকে উচ্চশিক্ষিত, আধুনিক প্রযুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত চাকুরিজীবীরা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, ম্যানেজার এবং বিশেষ করে ফাইনান্সের কারবারিরা এই দলে পড়েন। অপর দিকে নিছক স্কুল পাশ করা শ্রমিক বা কেরানি। জাতীয় আয়ে পুঁজি আর শ্রমের অংশ কিন্তু এখনও তেমন বদলায়নি। যেটা বেড়েছে, তা হল উচ্চশিক্ষিত এবং অল্পশিক্ষিত শ্রমিকদের আয় ও জীবনযাপনের মধ্যে ব্যবধান। ১৯৮০ সালে কলেজ পাশ করা নারী-পুরুষ অন্যদের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি উপার্জন করতেন। আজ সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশে। পাশাপাশি এটাও মনে রাখা দরকার, আমেরিকার শ্রমিক সম্প্রদায়ের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাভ করেছেন।

আমাদের রাজনৈতিক বিতর্কের ভাষা অধিকাংশ সময়েই অতিসরলীকরণ দোষে দুষ্ট। ধনতন্ত্র বনাম সমাজতন্ত্র, মুনাফা বনাম মানুষ, দাঁওবাদী বনাম মাওবাদী এই জাতীয় স্পষ্ট বিভাজন আমরা পছন্দ করে থাকি। পুঁজিবাদী বাজারি অর্থনীতির কুফলগুলো আজ মন্দা, দেনা আর বৈষম্যের দৌলতে আমাদের চোখের সামনে হাজির হয়েছে। অপর দিকে, যে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ই-মেল, মোবাইলের সম্মিলনী শক্তির সাহায্যে প্রতিবাদী জন-আন্দোলন জন্ম নিচ্ছে, তাও কিন্তু এই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার আশ্চর্য অবদান। এর অপার উদ্ভাবনী শক্তি শুধু যে নতুন ভোগ্যপণ্যের জোগান দেয় তা নয়, বদলে দেয় জ্ঞানবিজ্ঞান, খুলে দেয় মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের নতুন রাস্তা। আবার একই সঙ্গে অবলুপ্তি ঘটে পুরনো শিল্পের, পুরনো দক্ষতার প্রয়োজন ফুরায়, ভাটা পড়ে বহু লোকের উপার্জনে। একদেশদর্শী যাঁরা, তাঁদের চোখে পড়ে শুধুই শোষণ অথবা বৈভব। কিন্তু শুম্পিটারের ভাষায় পুঁজিবাদের মূলে রয়েছে সৃজনশীল ধ্বংসের প্রবণতা।
ফরাসি বিপ্লব নিয়ে তাঁর প্রামাণ্য উপন্যাসের শুরুতে চার্লস ডিকেন্স লিখেছিলেন: ‘সে ছিল অতি সুসময়, ঘোর দুঃসময়... আমাদের জীবন ছিল পরিপূর্ণ, কিন্তু আমরা ছিলাম নিঃস্ব।’ গত দুই দশকে আমরা পেয়েছি তথ্য-প্রযুক্তির এক নিঃশব্দ বিপ্লব, অর্ধশতাব্দীর সব চেয়ে প্রবল
আর্থিক মন্দা, আর ধনী-দরিদ্রের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান। ওয়াল স্ট্রিট দখল অভিযান কি পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ভেতর থেকে অর্থের পুনর্বণ্টন আর কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে, না কি আবেগের তোড়ে ফরাসি বিপ্লবের মতো এ আরও বিধ্বংসী রূপ নেবে? এ প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যৎই জানে।

লেখক দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্স-এ অর্থনীতির শিক্ষক


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.