স্টল-ভাড়া বৃদ্ধি, বিতর্ক |
স্টল-ভাড়া বাড়ছে বিধাননগর মেলা (উৎসব)-এ। স্টল পিছু প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১১০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৫০ টাকা। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানালেন বিধাননগর পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এ বার মেলার উদ্যোক্তা বিধাননগর পুরসভা। উল্লেখ্য, ‘কর্তৃত্ব’ বদলের পরে ‘বিধাননগর মেলা’র নাম বদলে হয়েছে ‘বিধাননগর মেলা (উৎসব)’। আগে মেলা-পরিচালন কমিটি মেলার নামে শুধুই বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগ ছিল বর্তমান সরকারের। তাই এ বার মেলার দায়িত্ব পায় পুরসভা। কিন্তু সরকারি সংস্থার হাতে দায়িত্ব যাওয়া সত্ত্বেও স্টল ভাড়া কেন বাড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কৃষ্ণাদেবী বলেন, “মেলার জন্য নগরোন্নয়ন দফতরকে রোজ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। বেড়েছে জিনিসের দাম। তাই ভাড়া বাড়ছে।” ১৮ জানুয়ারি থেকে করুণাময়ী প্রাঙ্গণে ওই মেলায় তুরস্ক, ঘানা, মিশর, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা এ বারও স্টল ভাড়া নিতে আগ্রহী বলে জানান পুর-কর্তৃপক্ষ। মেলা পরিচালনায় কিছু কমিটি হয়েছে। হয়েছে বিশিষ্টদের নিয়ে ১০টি সাব-কমিটি। বুধবার পুরসভার তরফে ওয়েবসাইটও চালু করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর বিধাননগর মেলা ও অন্যান্য বিষয়ে রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে আলোচনাসভা হবে বলে জানান স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।
|
গঙ্গাবক্ষে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। বুধবার, আর্মেনিয়ান ঘাটে ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মেয়র জানান, প্রথম পর্যায়ে নদীবক্ষে ‘পাইলিং’ করে কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে। সেখানে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলবে। আপাতত সেনাবাহিনীর এলাকার বাইরে ওই প্রকল্পের কাজ করা হবে। সেনার অনুমতি মিললে আর্মেনিয়ান ঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে। পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। শোভনবাবু বলেন, “গঙ্গা-তীরবর্তী এলাকায় সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের জন্য সেনাবাহিনীর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সেনা-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরসভার আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়েছে।”
|
টালায় ঠিকাদার খুনে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হল এক জন। ধৃত মহম্মদ ওসমানের বাড়ি কুলপিতে। পুলিশের দাবি, জুয়া খেলা নিয়ে বচসার জেরেই গত শনিবার শ্রীশচন্দ্র চৌধুরী লেনে এক কারখানার ভিতরে লোকনাথ মণ্ডল ওরফে লখি নামে ওই ঠিকাদারকে খুন করা হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, লোকনাথের মামাতো ভাই লম্বোদরের কাছে ওসমান সম্পর্কে জানা যায় বলে জানায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছিল, তিন দুষ্কৃতী ওই হামলা চালায়। লোকনাথের মাথায় চপারের একাধিক কোপ মারা হয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এলাকার একটি জুয়ার ঠেকে যেতেন লোকনাথ ও ওসমান। ওসমানকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার রাতেও জুয়ায় বেশ কিছু টাকা জিতে খেলা ছেড়ে উঠে আসেন লোকনাথ। ওসমান-সহ অন্যরা আপত্তি করলেও তিনি শোনেননি। এর পরেই আক্রোশ মেটাতে লোকনাথকে খুনের ছক কষা হয়। বুধবার আদালতে ধৃতের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
|
জীবন ভেসে চলেছে...
নিজ সুখস্রোতে: অলস বিকেলে প্রেমের জোয়ারে। বুধবার। ছবি: দেবাশিস রায় |
|