এ বার শুরু হচ্ছে গঙ্গার পশ্চিম তীরের সৌন্দর্যায়ন। আজ, বৃহস্পতিবার সেখানে শুরু হবে সুন্দর এক বাগান তৈরির কাজ। কেএমডিএ-র কর্তাদের দাবি, এই বাগানটি হবে মিলেনিয়াম পার্কের চেয়েও বড় এবং আরও আকর্ষণীয়। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কিছু দিন বাদেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, হাওড়ার দিকেও গঙ্গার তীর সাজানো হবে। সেই মতোই শুরু হচ্ছে এই সৌন্দর্যায়নের প্রক্রিয়া।
কেএমডিএ-র তৈরি মিলেনিয়াম পার্কের উদ্বোধন হয় ১৯৯৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর। হাওড়ার দিকের প্রস্তাবিত উদ্যানটিও তারাই তৈরি করবে। প্রথম পর্যায়ে কাজ হবে ২.১ কিলোমিটার অংশে। এর মধ্যে ৮০০ মিটার জমির মালিক কেএমডিএ নিজেই। বাকিটা রেলের। প্রথম পর্যায়ের কাজে খরচ হবে সাত কোটি টাকা। সময় লাগবে ছ’মাস। কেএমডিএ-র চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার বিবেক ভরদ্বাজ বলেন, “পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কথা হয়েছে। শীঘ্রই চূড়ান্ত অনুমতি এসে যাবে।”
প্রথম পর্যায়ের বাগানটির দৈর্ঘ্য হবে রামকৃষ্ণপুর ঘাট থেকে রেল সংগ্রহশালা পর্যন্ত। এর মাঝে পড়ছে তেলকল ঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট ও কয়েকটি মন্দির। বিবেকবাবু বলেন, “লোকে যাতে ঘাট বা মন্দিরে যেতে পারেন, তা মাথায় রেখেই সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে।” |
রেলের একটি পুরনো ভবনও পড়ছে ওই অংশে। সেটি আপাতত গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কেএমডিএ-কর্তৃপক্ষ চাইছেন, সেখানে স্বামী বিবেকানন্দের উপরে একটি প্রামাণ্য সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে। গুদামটি পাওয়ার বিষয়ে রেল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেএমডিএ-র প্রাথমিক ভাবে কথাবার্তাও হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের এই কাজের পরে রেল সংগ্রহশালা থেকে লবণগোলা ঘাট পর্যন্ত সৌন্দর্যায়নের কাজে হাত দেবে কেএমডিএ। সংস্থা সূত্রের খবর, হাওড়ার দিকের গঙ্গাতীর সাজানো হবে বটানিক্যাল গার্ডেন থেকে বালি ব্রিজ পর্যন্ত, প্রায় ১৬ কিলোমিটার অংশে। গোটা প্রকল্প হয়ে গেলে তা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বিনোদনের এক আদর্শ জায়গা হয়ে উঠবে বলে কেএমডিএ-র দাবি।
গঙ্গার পূর্ব তীরের সৌন্দর্যায়নের প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের তত্ত্বাবধানে চলছে বিবেকানন্দ সেতুর আধুনিক আলো-ব্যবস্থার কাজ। সেই কাজও শীঘ্রই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। পুর-সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা, সব মিলিয়ে বছরখানেক বাদে কলকাতা ও হাওড়ার লাগোয়া গঙ্গার দুই তীরের ছবি অনেকটাই বদলে যাবে। |