ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জীব পাল গোপন জবানবন্দি দিতে আগ্রহী বলে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার আলিপুর আদালতকে জানিয়েছিল। সেই অনুযায়ী আমরির এজিএম (রক্ষণাবেক্ষণ) সঞ্জীববাবুকে এ দিন দুপুরে কড়া পুলিশি পাহারায় ষষ্ঠ বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা চৌধুরীর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারে ঢোকার পরেই সঞ্জীববাবু গোপন জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন।
সঞ্জীববাবু এবং আমরির চেয়ারম্যান (নিরাপত্তা) সত্যব্রত উপাধ্যায়কে এ দিন ফের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী হেফাজত করিমের এজলাসে তোলা হয়। শুনানির শুরুতেই সরকার পক্ষের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানান, অভিযুক্ত সঞ্জীব পাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপনে জবানবন্দি দিতে চান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তাঁর আর্জি মঞ্জুর করা হোক। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সেলিম রহমান এর আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন।
ইতিমধ্যে এজলাসে ওই দুই অভিযুক্তের তরফে জামিনের জন্য আবেদন জানানো হয়। সঞ্জীববাবুদের আইনজীবী অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ তাঁর মক্কেলদের দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করেছে। সুতরাং তাঁদের আটকে রাখার যুক্তি নেই। যে-কোনও শর্তে তাঁদের জামিন দেওয়া হোক। অভিযুক্তদের অন্য আইনজীবী উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে যে-সব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, তা আদৌ প্রযোজ্য নয়। ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না। সরকারি আইনজীবীরা দুই অভিযুক্তকে জেল-হাজতে রাখার আর্জি জানান।
আদালত এই মামলায় আগেই রাধেশ্যাম অগ্রবাল-সহ সাত আমরি-কর্তাকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এ দিন সঞ্জীববাবু এবং সত্যব্রতবাবুকেও ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। রাধেশ্যাম ছাড়া অন্য আট অভিযুক্তকে ওই দিন ফের আদালতে তোলা হবে। অসুস্থ রাধেশ্যামের জেল-হাজত হলেও আদালতের নির্দেশে তাঁকে রাখা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। ২৯ ডিসেম্বর তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। |