কাজের স্বীকৃতি ও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় যোগদানের দাবি তুললেন ‘রুর্যাল মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ সদস্যরা। শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের ‘হরিপদ সাহিত্য মন্দির হলে’ সংগঠনের দ্বিতীয় জেলা সম্মেলনে এই দাবি তোলেন তাঁরা। সংগঠনের সম্পাদক ভীষ্মদেব কুমার বলেন, “পুরুলিয়া অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া জেলা। চিকিৎসার প্রয়োজনে এই জেলার গরিব মানুষের ইচ্ছা থাকলেও আধুনিক ব্যয়বহুল চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া তাঁদের পক্ষে দুষ্কর। প্রত্যন্ত এলাকায় গরিব মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব আমরাই বহন করছি দীর্ঘদিন। সেকথা এলাকার মানুষরাও জানেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু আমরাই দিই। কিন্তু আমাদের কাজের কোন স্বীকৃতি নেই। তাই আমরা কাজের স্বীকৃতি এবং বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের যোগ দেওয়ার সুযোগের দাবিতে সরকারের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছি।”
|
সরকারের কড়া অবস্থান সত্ত্বেও এখনও বিক্ষোভে অনড়ই রয়েছেন রাজস্থানের সরকারি চিকিৎসকরা। আজ ষষ্ঠ দিনে পড়ল তাঁদের ধর্মঘট। এর ফলে ক্রমশই জটিল হচ্ছে রাজ্যের পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে এক আফগান নাগরিকও রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ধর্মঘটী চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। ঘর্মঘট করার জন্য এ পর্যন্ত ৪১০ জন চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তির ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
|
বন্ধ হয়ে থাকা পুরুলিয়া হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালটি চালু করার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন জেলার তিন বিধায়ক। বাঘমুণ্ডির নেপাল মাহাতো, পাড়ার উমাপদ বাউরি ও কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া ২০০৮ সালের অগস্ট মাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি ফের চালু করার আর্জি জানিয়েছেন। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের আগে পর্যন্ত এই কলেজ চালু ছিল। ওই বছর থেকে এই কলেজে ছাত্রভর্তি বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকেই এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি ধুঁকছে। এই আর্জি জানানোর আগে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ ও কলেজ চালুর দাবিতে লোকসেবক সঙ্ঘ সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছে। ২৪ ডিসেম্বর সেই সত্যাগ্রহ দু’বছর পূর্ণ করেছে। নেপাল মাহাতো বলেন, “সরকার অধিগ্রহণই হোক বা অন্য কোনও ভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালু করার জন্য অনুরোধ করেছি।” |